যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলতানুল নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের নামের আগে বা পরে ‘মুহম্মদ’ কিংবা ‘আহমদ’ থাকা আবশ্যক। শুধু তাই নয় বরং প্রত্যেক মুসলমানের নাম ‘মুহম্মদ’ ও আহমদ’ই হওয়া দরকার। কারণ মুহম্মদ ও আহমদ নাম মুবারক দুটি মানুষের জন্য নাযাতের জারিয়া হবে। তিনি বলেন, যাদের নাম ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ হবে আল্লাহ পাক তাদেরকে নাযাত দান করবেন।
বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ও মিরকাত শরীফে বর্ণিত হাদীছ শরীফের বরাত দিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ”।
হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব ‘আল ফিরদাউস লিদ দায়লামী শরীফের’ বরাত দিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হযরত আনাছ ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক-এর সামনে দু’বান্দাকে দাঁড় করানো হবে। (অর্থাৎ যাদের একজনের নাম ‘মুহম্মদ’ এবং অপর জনের নাম ‘আহমদ’)। আল্লাহ পাক তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ করবেন। তাঁরা উভয়ে বলবেন, “আয় আল্লাহ্ পাক! আমরা কী কারণে জান্নাত লাভ করলাম, আমরা তো জান্নাত লাভের উপযুক্ত কোন আমল করিনি।’ অতঃপর মহান আল্লাহ পাক বান্দাদ্বয়কে বলবেন, “হে আমার বান্দা। তোমরা দু’জনই জান্নাতে প্রবেশ কর। কারণ নিশ্চয়ই আমি আমার জাত পাকের কসম করে বলছি, যে ব্যক্তির নাম ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ হবে সে কখনো দোযখে প্রবেশ করবে না।
মুসনাদুল ফিরদাউসের বরাতে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন আমার ইজ্জত ও জালালের কছম করে বলছি যে, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আপনার নামে যাদের নাম রাখা হবে তাদের কাউকেই দোযখে শাস্তি দান করব না।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে ব্যক্তির নাম ‘মুহম্মদ’ বা ‘আহমদ’ নয় বা কারো নাম ‘মুহম্মদ’ বা ‘আহমদ‘ রাখেনি কিন্তু উক্ত নামকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক হওয়ার কারণে সম্মান করেছে, মুহব্বত করেছে সেও জান্নাতী হবে। যদিও তার আমলে কিছু ক্রুটি থাকুক না কেন।