নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদী-নাছারা, মজুসী ও মুশরিকদের খিলাফ কর। পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ পালনের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, হুজ্জোতি, বেলেল্লাপনা, মাতলামি করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। বাংলা নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, আরবী নববর্ষ ইত্যাদি সবই ইহুদী-নাছারা, বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা; যা পালন করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ পালনের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, মাতলামি করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। ইসলামের দৃষ্টিতে নওরোজ বা যে কোনো ধরনের নববর্ষ পালন করা হারাম ও বিদয়াত।”
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের হুজ্জোতি ও হুজুগ প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ পালনের ইতিহাস ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা পালন মুসলমানদের কাজ নয়। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ পালনের সংস্কৃতি হিন্দুদের থেকে এসেছে। তবে বাংলা সন বা পহেলা বৈশাখ বাঙালি দ্বারা প্রবর্তিত নয়। বাদশাহ আকবর ফসলী সন হিসেবে এর প্রবর্তন করে। আর বাদশাহ আকবর ছিল মঙ্গলীয় এবং ফারসী ভাষী। তাহলে এটা কি করে বাঙালি সংস্কৃতি হতে পারে? কাজেই বাঙালিদের জন্য এটা অনুসরণীয় নয়, আর মুসলমানদের জন্য তো এটা অনুসরণ করার প্রশ্নই আসেনা। কারণ মুসলমানদের জন্য বিধর্মী ও বিজাতীদের অনুসরণ করা কাট্টা হারাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়। ইরান থেকেই এটা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলা পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ উপলক্ষে শহরে ও গ্রামে যে ভোজ, মেলা উৎসব হয় তাও ইরানের নওরোজ হতে পরোক্ষভাবে এদেশে এসেছে। মোঘল পূর্ববর্তী আমলে এদেশে নওরোজ বা নববর্ষ পালনের রীতি প্রচলিত ছিল না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি। আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘট পূজার দিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে।’ অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগির সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকে অনেক মুসলমান বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ পালন করছে। আর এতে করে তারা বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই মিল রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ করছে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিরেরাই নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি (সূরা আনফাল : আয়াত শরীফ ৫৫) আর নববর্ষ পালনের দ্বারা সেই কাফিরদেরই অনুসরণ-অনুকরণ করা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্তমান যামানার উলামায়ে ‘ছূ’রা এবং ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসাকারী রাজাকারদের মুখপত্র দৈনিকগুলো বাংলা নববর্ষকে আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত বলে তা পালন করার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে; অথচ এটা সম্পূর্ণ কুফরী কাজ।
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, উলামায়ে ছূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারাই বেশরা-বিদয়াতের দিকে আহ্বান করছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহেযগারীর মধ্যে সাহায্য করো; পাপ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করো না। (এ বিষয়ে) তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ২)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত উলামায়ে ছূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের নিশ্চিহ্ন ও নির্মূল করা না যাবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানদের আমল নিরাপদ নয়। ধর্মব্যবসায়ীরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট। এদের নির্মূল করতে পারলেই মুসলমান সত্যিকার ইসলামী চেতনা ও আক্বীদা ফিরে পাবে, মুসলমানদের আমল ইছলাহ হবে। ফলে পহেলা জানুয়ারি ও পহেলা বৈশাখের মতো হারাম আমল ও তার আবহ থেকে তারা নাজাত পাবে।