নোটিশ

বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১১

বর্তমানে প্রচলিত ফসলী সন তথা বাংলা সন বাঙালিদের সন নয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য নয়

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী সনের আধুনিক রূপ।

বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। তাহলে কি করে বর্তমানে প্রচলিত ফসলী সন তথা বাংলা সন বাঙালিদের সন ও হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে? ফসলী সন তথা বাংলা সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩ হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। অতএব, মুসলমানদের বেশি বেশি পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মোগল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ হতে ১৬০৫ ঈসায়ী সন) ইসলাম বিদ্বেষী হওয়ার কারণে ইসলামী সন অর্থাৎ হিজরী সন থেকে মুসলমানদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দিল্লির সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরী ২রা রবীউছ ছানী, রোজ শুক্রবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল ১৫৫৬ তারিখ থেকে পহেলা বৈশাখ গণনা শুরু করে। ওই দিন সম্রাট আকবরের সিংহাসনে অভিষেক হয়। সে দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য সম্রাট আকবর তার সম্রাজ্যে সর্বত্রই হিজরী সনের পরিবর্তে সৌর বৎসর পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিভাবে দিনটির ক্ষণ শুভ হবে তা গণনার জন্য রাজসভার অন্যতম নবরত সদস্য ও রাজ জ্যোতিষী আমীর ফতেউল্লাহ সিরাজীর উপর দায়িত্ব পড়ে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সিরাজী সামাজিক ক্ষেত্রে ও ফসলের মৌসুমের দিকে লক্ষ্য রেখে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থের নামে হিজরী সনের পরিবর্তে ঋতুভিত্তিক সৌর সনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তখনকার প্রচলিত হিজরী সনকে ফসলী সন হিসেবে চালু করে। পরবর্তীতে সে ফসলী সন বাংলা সনে রূপান্তরিত হয়। এতদ্বসংক্রান্ত বাদশাহ আকবরের নির্দেশনামা জারি হয় ৯৯৩ হিজরী, ৮ই রবীউল আউয়াল শরীফ মোতাবেক ১০ মার্চ ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ এবং তা কার্যকর করা হয় সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের স্মারক বর্ষ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক হিজরী ৯৬৩ চন্দ্র সনকে ৯৬৩ বাংলা সৌর সনে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাদশাহ আকবর এদেশীয় বাঙালি ছিলো না বা বাংলাভাষীও ছিলো না এমনকি বাংলাদেশীও ছিলো না । সে ছিলো সাম্রাজ্যবাদী ও মোগল বংশোদ্ভূত।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ পরবর্তীতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবধারার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়। অর্থাৎ হিন্দুরা ফসলী সন তথা বাংলা সনকে হিন্দুয়ানী সন হিসেবে গ্রহণ করে তাদের পুজাগুলিকে ফসলী সনের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। যে কারণে তারা পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র সংক্রান্তি পালন করে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এরপর এর সাথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত হয়ে পড়ে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একজন মুসলমান ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু পহেলা বৈশাখ কেনো কোন নববর্ষই পালন করতে পারে না। কারণ মুসলমানদের জন্য কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, ইহুদী ও নাছারাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা কাট্টা হারাম ও শক্ত কুফরী। তাই মুসলমানরা পহেলা মুহররমও পালন করে না।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের নামে সব পাপাচার থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি মুসলমানকে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, বোমা হামলাসহ সব ধরনের নাশকতা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ, এগুলোও ইসলামের দৃষ্টিতে শক্ত ও কঠিন হারাম।

আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ বলেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা বিধর্মীদের সাথে মুহব্বত রাখবে তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।