যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,“গুটলীযুক্ত, গোল কোণাবন্ধ, নিছফুসাক্ব জামা পরা খাছ সুন্নত; অবজ্ঞা করা কুফরী।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি পোশাক সম্পর্কে আয়াত শরীফ উদ্ধৃত করে বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি বলে দিন, আল্লাহর সৃষ্ট সুন্দর পোশাক হারাম করলো কে? যা তিনি আপন বান্দার জন্য সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আ’রাফ/৩২)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক পোশাককে জিনাত বা অলঙ্কার বলেছেন। পোশাক মানব জাতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে, ভদ্র করে তোলে, শালীনতা বজায় রাখে, বর্বরতা ও বেহায়াপনা দুর করে দেয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কিছু লোক মনে করে থাকে যে, ছেঁড়া-ফাঁড়া কাপড় পরলেই আল্লাহ পাক-এর নৈকট্য লাভ করা যায়, আর ইসলামের শিক্ষা হলো দরিদ্রতা প্রকাশ করা। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের মতবাদ ভ্রান্তির শামিল। স্বচ্ছলতা থাকলে দীনতা বা দরিদ্রতা প্রকাশ করা ইসলাম পরিপন্থি। এ ধরনের আচরণ ইসলামের অপছন্দনীয়। তিনি বলেন, সল্ফে সালেহীনগণের বড় বড় ইমামগণ, যাঁদেরকে আল্লাহ পাক ধন-দৌলত দান করেছিলেন, তাঁরা সুন্দর ও মূল্যবান পোশাক পরতেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা জীবনই স্বচ্ছল অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে তিনি প্রায় সবকিছু দান করে দিতেন। তবে কখনো কখনো তিনি সুন্দর হতে সুন্দরতম মূল্যবান পোশাক পরতেন। একদা প্রিয় নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক খানা চাদর মুবারক পরে আসলেন, যার মূল্য সেই যুগে এক হাজার দিরহাম ছিল। এছাড়া তিনি ২৭টি উটের দামের সমান মূল্যের পোশাকও পরেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পোশাকের মধ্যে সাদা রংয়ের পোশাক উৎকৃষ্ট। সাদা রং আল্লাহ পাক-এর প্রিয় এবং আল্লাহ-পাক এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছেও প্রিয়। বলা যায়, সাদা পোশাক পোশাকের বাদশাহ।
এ প্রসঙ্গে হযরত সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সাদা কাপড়ের পোশাক সুন্দর ও পবিত্র, কাজেই সাদা পোশাক ব্যবহার করবে।”
হযরত উম্মে সালমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর বর্ণিত তিরমিযী শরীফের হাদীছ শরীফ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সর্বাধিক প্রিয় পোশাক ছিল কামিছ বা কোর্তা। তিনি কামিছ ডান দিক হতে পরতেন। উনার কামিছের আস্তিন হাতের কব্জি পর্যন্ত লম্বা ছিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লামা হযরত জাফরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, কামিছ সেলাইযুক্ত কাপড়কে বলা হয়ে থাকে, যা দু’টি হাতাওয়ালা কাপড় শরীরের সঙ্গে কাছাকাছি চাপা হয়ে থাকে।
আল্লামা হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, একটি গলা ও দুটি হাতাওয়ালা সেলাইযুক্ত কাপড়কে কামিছ বলা হয়ে থাকে। আল্লামা হযরত দিমীয়াতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার কামিছ সুতি কাপড়ের হতো।
কামিছ বা কোর্তা সম্পর্কে আবু দাউদ, শায়ায়েলে তিরমিযী, মিশকাত, মিরকাত ইত্যাদি হাদীছ শরীফ-এর কিতাবের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুন্নতী পাঞ্জাবী বা কোর্তা লম্বায় নিছফুসাক্ব অর্থাৎ হাঁটু ও গিড়ার মাঝামাঝি হবে। এবং কোণাবন্ধ ও গোল হতে হবে, কোণা ফাঁড়া হতে পারবে না, কারণ কোণা ফাঁড়া সুন্নত নয়। আস্তিন হবে কব্জি পর্যন্ত লম্বা। অবশ্য কব্জি থেকে সামান্য লম্বাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এবং গলায় গুট্লী বা গুণ্ডি দেয়া সুন্নত। তবে বোতাম দেয়া সুন্নত নয়। সুন্নতী কোর্তার ক্ষেত্রে সুতি ও মিশরী কাপড় খাছ সুন্নত। অবশ্য মিশরী ব্যতীত অন্য সুতিও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাছ করে সাদা রং পছন্দ করতেন। এছাড়া খয়েরী, সবুজ, ধুসর, ঘিয়া ইত্যাদি রংও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সুন্নত পালন করা সম্পর্কে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়িয়ে ধর।” আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমাদের প্রতি আমার সুন্নত ও আমার হিদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত পালন করা অবশ্যই কর্তব্য। তোমরা তা মাঢ়ির দাঁত দিয়ে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে ধর।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলতঃ সুন্নত পালন করা আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ। এবং তা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।