নোটিশ

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১১

ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন- সর্বপ্রকার খেলাধুলা হারাম। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। এছাড়া মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে বিরত থাকা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়ত সর্বপ্রকার খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করেছে। যেমন কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।(সূরা আম্বিয়া-১৬)

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।(মুস্তাদরেকে হাকিম)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবলসহ ক্রিকেট, অলিম্পিক ইত্যাদি সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। কারণ তা বিধর্মী কর্তৃক প্রবর্তিত। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাস দ্বারাই তা সুস্পষ্ট প্রমাণিত। যেমন ইতিহাসে উল্লেখ আছে- বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য ২টি ট্রফি নির্মিত হয়, জুলেরিমে ও ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি। বর্তমান বিশ্বকাপ ট্রফির নাম ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জুলেরিমে ট্রফি নামকরণ করা হয় ফিফার কথিত স্বপ্নদ্রষ্টা জুলেরিমের নামানুসারে। এর নির্মাণ শৈলী ভাস্কর্যের প্রতীক মাথার উপর দুহাত উচিয়ে বিজয় গৌরবে উল্লসিত বিজয়ের দেবী এক পরী। ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয়। এই কাপের ডিজাইনার হচ্ছে ইতালির ভাস্কর শিল্পী সিলভিও গাজ্জানিগা। ১৮ ক্যারেটের ৪.৯৭ কেজি ওজনের স্বর্ণের কাপটি ৩৬ সে.মি. লম্বা, যাতে দুজন অ্যথেলেট পিঠাপিঠি করে ধরে আছে তাদের উপর গোটা বিশ্বকে। অর্থাৎ বিশ্বকাপ উচ্চারণ হচ্ছে দুটো মূর্তির হাতের উপর বিশ্ব’- এরকম ধারণাকে আওড়ানো যা কিনা মূর্তি সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়ার নামান্তর। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়। টেলিভিশনে ১৯৫৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ দেখানো হয়। ১৯৩০ থেকে নিয়ে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৮টি বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছে। এবার হলো ১৯তম পর্ব।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফুটবলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হয় যে, ফুটবল বা এ জাতীয় সকল খেলাধুলার উদ্ভাবক হচ্ছে বিধর্মীরা। অর্থাৎ বর্তমানে প্রচলিত সমস্ত খেলাধুলাই বিধর্মীদের প্রবর্তিত নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে মুসলমানদের জন্য তা অনুসরণ ও সমর্থন করা কি করে জায়িয হতে পারে?
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত কথিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল। তাদের এ কূটকৌশলের মধুমাখা শ্লোগান হলো বিশ্বায়ন।এ বিশ্বায়নের নামে তারা কথিত বিশ্বকাপ ফুটবল, ক্রিকেট, অলিম্পিক ইত্যাদি হুজুগ দ্বারা মুসলমানদের হারাম আনন্দে ভুলিয়ে তাদের ঈমান-আমল ধ্বংস করে দিচ্ছে। মূলত যারা ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী ও মুশরিক তারা সদাসর্বদা চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে কি করে ঈমান-আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের যে কোন রকমে কাফিরে পরিণত করতে।(সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৯)
আরো ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।(সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ৮২)
তাই তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার জন্য। যেমন একদিকে খেলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে, অপরদিকে টেলিভিশনে খেলা ও হাজারো অশ্লীলতা দেখিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নষ্ট করছে তথা চরম পাপাচারে মত্ত করছে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম বহির্ভূত বিজাতীয় তর্জ-তরীক্বা, নিয়মনীতি গ্রহণ করা কোন মুসলমানের জন্য জায়িয নেই বরং তা গ্রহণ করা কাট্টা কুফরী। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়মনীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ৮৫)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কোন আমলের ক্ষেত্রেই বিধর্মী ও বিজাতীয় কোন পন্তুা অনুসরণ করা যাবে না বা তাদের থেকে কোন নিয়মনীতি গ্রহণ করা যাবে না। শুধুমাত্র দ্বীন ইসলামের দলীল- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী আমল করতে হবে। কেননা, বিধর্মীরা মূলতঃ মুসলমানদের ঈমান-আমল বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যার একটি হলো, কথিত বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা। যা মূলত বিধর্মীদেরই আবিষ্কার বা তাদের উদ্ভাবিত নিয়ম-নীতি।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। তবে টিভিতে খেলা দেখা বা অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখা আরো কঠিন ও অধিক গুনাহর কারণ। কেননা, শরীয়তের দৃষ্টিতে টিভি তথা ছবি দেখা, রাখা ইত্যাদি সবই হারাম। খেলা সম্পর্কিত কোন দেশকে, দলকে বা ব্যক্তিকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা, পতাকা উড়ানো, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয় কামনা করে দোয়া করা, রোযা রাখা, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয়ে খুশি প্রকাশ করা, হাতে তালি দেয়া, রং ছিটানো ও শুকরিয়া আদায় করা সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী। কারণ আক্বাইদের কিতাবে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, ‘হারামকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী।আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী-খ্রিস্টানরা মুসলমানদের আমল নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ধর্মব্যবসায়ী বা উলামায়ে ছূদেরকে ব্যবহার করছে। তাই তাদের সবার ষড়যন্ত্র ও ধোঁকা থেকে প্রত্যেক মুসলমানদের ঈমান আমল হিফাযত করা ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইসলামের দৃষ্টিতে কথিত বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। এছাড়া মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- কথিত বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে বিরত থাকা।


[ট্যাগঃ পীর-মুরীদি (মুরিদি) ব্যবসাধারী ভন্ড-পীর সহ ধর্মব্যবসায়ীদের জম রাজারবাগ দরবার শরীফ, রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম]