নোটিশ

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১১

ইসলামী শরীয়তে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়াও আরো ঈদ রয়েছে। যারা বলে, দুই ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নেই; তারা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী। আর কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারীরা কাফির।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যারা বলে, দুই ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নেই; তারা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী। আর কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারীরা কাফির।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বিলাদত শরীফের দিনটিও ঈদে মীলাদুন্ নবী বা খুশীর দিনের অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যারা বলে থাকে, “শরীয়তে দুঈদ ব্যতীত অন্য কোন ঈদ নেইতারা প্রকৃতপক্ষে কিল্লতে ইলম, কিল্লতে ফাহম (কম জ্ঞান, কম বুঝ) অর্থাৎ কুরআন-সুন্নহ সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ হওয়ার কারণেই এ কথা বলে থাকে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা যেভাবে দুঈদ ছাবিত হয়েছে বা রয়েছে ঠিক একইভাবে অন্যান্য ঈদ এবং ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সাইয়্যিদু ঈদে আযম ও ঈদে আকবর হিসেবে ছাবিত বা প্রমাণিত হয়েছে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর সম্পর্কে আবু দাউদ শরীফ ও মিশকাত শরীফে রয়েছে, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনা শরীফে (হিজরত করে) তাশরীফ নিলেন (তখন তিনি দেখতে পেলেন যে) মদীনাবাসীগণ সেখানে দুদিন খেলাধুলা করে থাকে।
অতঃপর তিনি বললেন, এ দুদিন কোন দিন? তারা বলল, আমরা এ দুদিনে জাহিলী যুগে খেলাধুলা করতাম। তখন রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ পাক এ দুদিনের পরিবর্তে তোমাদের জন্য উত্তম দুদিন দিয়েছেন, তাহলো ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরঅর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে মুহম্মদীর জন্য আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই হাক্বীক্বী ঈদ। কারণ, সেই দিন স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ আনেন।

ইবনে মাযাহ্ ও মিশকাত শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “জুমুয়ার দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক-এর নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহ পাক-এর নিকট শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এ দিনটিতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রয়েছে, (১) এ দিনে আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে সৃষ্টি করেছেন, (২) এ দিনে তাঁকে যমীনে প্রেরণ করেছেন, (৩) এ দিনে তাঁকে ওফাত দান করেছেন, (৪) এ দিনটিতে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময়টিতে বান্দা আল্লাহ পাক-এর নিকট কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তাকে তা দান করেন যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু চায় এবং (৫) এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এমন কোন ফেরেশ্তা নেই, আসমান নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই, সমুদ্র নেই, যে জুমুয়ার দিন সম্পর্কে ভীত নয়।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকার কারণে যদি জুমুয়ার দিন ঈদের দিন বা খুশীর দিন হতে পারে। শুধু তাই নয়, এমনকি ঈদুল ফিত্র ও ঈদুল আযহার চেয়েও সম্মানিত, ফযীলতপ্রাপ্ত ও মহান হয় তাহলে নবীগণের নবী, রাসূলগণের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে যেই দিনটি সম্পর্কযু্ক্ত সেই দিনটির সম্মান, ফযীলত ও মহত্ত্ব কতটুকু হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ তা অবশ্যই ঈদের দিন হবে। এমনকি জুমুয়ার দিন অপেক্ষাও তা হবে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত ঈদের দিন।

তিরমিযী শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলামএ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, “যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদীসম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদ বলে ঘোষণা করতাম।এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দুঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।অর্থাৎ পুনরায় ঈদ ঘোষণা করতে হবে না। কেননা ঈদের দিনেই এ আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফে উম্মতে মুহম্মদীর জন্য জুমুয়ার দিনের সাথে সাথে আরাফার দিনকেও ঈদের দিন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। বুখারী ও মুসলিম শরীফেও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ শরীফে আরাফার দিনকে উম্মতে মুহম্মদীর জন্য ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বুখারী, মুসলিম, মিশকাত শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হযরত রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “রোযাদারের জন্য দুটি খুশী রয়েছে। একটি তার ফিতর বা ইফতারে সময় এবং অপরটি তার রবের সাক্ষাতের সময়।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফে রোযাদারের জন্য দুটি খুশী বা ঈদের কথা বলা হয়েছে। একটি হচ্ছে তার ইন্তিকালের পর আল্লাহ পাক-এর সাথে সাক্ষাতের সময়। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে তার ফিত্র বা ইফতারের সময়। আর ফিত্র বা ইফতার হচ্ছে দুপ্রকার (১) কুবরা, (২) ছুগরা। কুবরা হচ্ছে ঈদুল ফিত্র যা হাদীছ শরীফ দ্বারা ঈদের দিন হিসেবে প্রমাণিত। আর ছুগরা হচ্ছে রোযাদার প্রতিদিন মাগরিবের সময় করে থাকে। এটা প্রতি বছরে ২৯ দিন অথবা ৩০ দিন হয়ে থাকে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইফতারীয়ে ছুগরা বা ঈদুল লাইন ফরয রোযা হিসেবে বছরে ২৯ বা ৩০ দিন। আর সুন্নত রোযা হিসেবে কমপক্ষে মুহররম মাসে ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ ২টি এবং তার সাথে আরো ১টি মোট ৩টি, শাওয়াল মাসে ৬টি, যিলহজ্জ মাসে ১ হতে ৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি এবং অন্যান্য মাসসমূহে ৩টি করে ২৪টি; সর্বমোট ৪২দিন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, প্রত্যেক মুমিনের জন্য প্রতি মাসে চারটি ঈদ অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফে মুমিনের জন্য প্রতি মাসে ৪টি বা ৫টি ঈদের কথা বলা হয়েছে। কারণ, প্রতি মাসে সোমবার ৪টি বা ৫টি হয়ে থাকে। আর শুক্রবারও প্রতি মাসে ৪টি বা ৫টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর- এ দুটিই নয়, আরো অনেক ঈদ রয়েছে। কাজেই শুক্রবার মুমিনদের ঈদের দিন। আরবী বা চান্দ্র বছর অনুযায়ী এক বছরে প্রায় ৫০টি শুক্রবার হয়ে থাকে। সে হিসেবে এ ৫০টি দিনও মুমিনদের জন্য ঈদের দিন। আবার সোমবার দিনও মুমিনদের ঈদের দিন। চান্দ্র বছর অনুযায়ী এক বছরে প্রায় ৫০টি সোমবার হয়ে থাকে। সে হিসেবে এ ৫০টি দিনই মুমিনদের জন্য ঈদের দিন। আর আরবী বছরে ১২টি মাসের মধ্যে একটি মাস হচ্ছে রমাদ্বান শরীফ। যা ২৯ বা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। এবং এ ২৯ বা ৩০ দিন রোযাদার মুমিনের জন্য খুশীর দিন বা ঈদের দিন। সুন্নত রোযার ৪২ দিন খুশীর বা ঈদের দিন। মুমিনের জন্য আরাফার দিন ঈদের দিন বা খুশীর দিন। ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ ঈদের দিন বা খুশীর দিন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুমিনের জন্য সর্বমোট ঈদের দিন বা খুশীর দিন হলো- শুক্রবার ৫০ দিন, সোমবার ৫০দিন, আরাফার ১দিন, ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ ১ দিন, ঈদুল ফিত্র ১দিন, ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ৩ দিন, ফরয রোযার ২৯ বা ৩০ দিন, সুন্নত রোযার ৪২দিন সর্বমোট ১৭৭ বা ১৭৮ দিন। অর্থাৎ বছরের প্রায় অর্ধেক দিনই মুমিন-মুসলমানের জন্য ঈদ বা খুশীর দিন। (সুবহানাল্লাহ)

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যারা বলে শরীয়তে দুঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্র ব্যতীত অন্য কোন ঈদ নেই-তাদের এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুরআন-সুন্নাহ এর খিলাফ। প্রকৃতপক্ষে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে মুমিন, মুসলমানগণের জন্য ঈদ শুধুমাত্র দুটিই নয়, আরোও রয়েছে। কাজেই ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর- এ দুঈদ ব্যতীত অন্যান্য ঈদকে অস্বীকার করার অর্থ হলো, কুরআন-সুন্নাহকেই অস্বীকার করা। আর যারা কুরআন-সুন্নাহ্কে অস্বীকার করে তারা মুমিন-মুসলমানের অন্তর্ভূক্ত নয় বরং কাফির।