নোটিশ

শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১১

শবে বরাতের রোযা রাখার ফযীলত

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি শাবান মাসের রোযা সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন,যে ব্যক্তি শাবান মাসে তিনটি রোযা রাখবে আল্লাহ পাক তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন।


আরো ইরশাদ হয়েছে, “শাবান মাসের রোযার ইফতারীর সময় যে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং রিযিকে বরকত দেয়া হবে।

মুজাদ্দিদে আযম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ এ রাতে তোমরা জেগে জেগে ইবাদত-বন্দেগী করো। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখ উপস্থিত হয় তখন ঐ রাত্রিতে তোমরা নামায পড়বে এবং দিনে রোযা রাখবে।(ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

যারা তিনটি রোযা রাখবে তারা ১৩, ১৪ ও ১৫ ই শাবান দিনে রোযা রাখতে পারে। আর যদি তিনটি রোযা রাখা সম্ভব না হয় তবে অন্ততঃপক্ষে শবে বরাতের পরের দিন অর্থাৎ ১৫ই শাবানের দিনের রোযাটি রাখার চেষ্টা করবে। কেননা, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “শাবান মাসের পনের তারিখ যে রোযা রাখবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব এবং মুহব্বত ও খুলুছিয়তের সাথে আসন্ন শবে বরাত পালন করা। মুসলমানরা যাতে ইতমিনানের সাথে অফুরন্ত নিয়ামতের রাত পবিত্র শবে বরাতপালন করতে পারে এবং পরের দিন রোযা রাখতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল মুসলিম অমুসলিম সরকারের উচিত পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন অর্থাৎ ১৩, ১৪ ও ১৫ই শাবান ছুটি ঘোষণা করা এবং মুসলমানদের শবে বরাত পালনে সর্বপ্রকার সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করা।