মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই বরকতময় মক্কা
শরীফ-এ মানুষের জন্য প্রথম ঘর স্থাপন করা হয়েছে। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক
তিনি মদীনা শরীফ-এর নাম মুবারক রেখেছেন ত্ব-বাহ অর্থাৎ পবিত্র। মক্কা শরীফ ও মদীনা
শরীফ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-কে যথাযথ
তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করা মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফকে
ইহানত করারই নামান্তর; যা কাট্টা কুফরীর
অন্তর্ভুক্ত।
যামানার লক্ষ্যস্থল
ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ,
মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন,
মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ
মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মক্কা শরীফ-এর
ফযীলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই বরকতময় মক্কা শরীফ-এ মানুষের জন্য প্রথম ঘর স্থাপন
করা হয়েছে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মক্কা শরীফ-এর
ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতি দিন ও রাতে বাইতুল্লাহ
শরীফ-এর উপর একশত বিশটি রহমত নাযিল করে থাকেন। তন্মধ্যে ষাটটি তাওয়াফকারীদের জন্য,
চল্লিশটি নামায আদায়কারীদের জন্য আর বিশটি
যিয়ারতকারীদের জন্য। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মদীনা শরীফ-এর
ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মদীনা শরীফ হারাম (সম্মানিত) আইর থেকে সাওর পর্যন্ত। এর
মধ্যে যে ব্যক্তি শরীয়তবিরোধী কাজ করবে এবং শরীয়তবিরোধী কাজকে প্রশ্রয় দিবে,
তার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার, হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের ও সকল মানুষের
অভিসম্পাত। আর তার কোনো নফল ও ফরয ইবাদত কবুল হবে না।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত-২৬০৮)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইজমা হয়েছে তথা
হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা ঐকমত্য পোষণ করেছেন, যে মাটি মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক তথা
জিসিম মুবারক স্পর্শ করেছে তার মর্যাদা-মর্তবা মহান আল্লাহ পাক উনার আরশে মুয়াল্লা
এমনকি ক্বাবা শরীফ হতে লক্ষ- কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মদীনা শরীফকে
সম্মান করা জুযয়ে ঈমান। এজন্য মদীনা শরীফ-এর সংশ্লিষ্ট সমস্ত কিছুকেই অত্যন্ত
মুহব্বত করতে হবে। অবমাননা করা যাবে না। কেননা অবমাননা করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
অর্থাৎ কুফরি গুনাহে গুনাহগার হওয়া ও ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ। সেটাই হযরত ইমাম মালেক
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ফতওয়া দিয়েছেন যে, “যে ব্যক্তি মদীনা শরীফ-এর মাটি নাপাক বলবে তাকে কঠিন শাস্তি
দিতে হবে এবং খালিছ তওবা-ইস্তিগফার না করা পর্যন্ত তাকে বন্দি করে রাখতে হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মদীনা শরীফ
সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের সাথে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না যা আদবের খিলাফ। কারণ মদীনা
শরীফ-এর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক বিষয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এর সম্মান-মর্যাদা ও আদব অনুরূপই।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যেহেতু সমস্ত
কাফিররা মুসলমানগণের ঈমান আমলের ক্ষতি সাধনে এক জোট; তাই তারা সম্মিলিত চক্রান্ত বা কৌশলের মাধ্যমে মুসলমানগণর
পবিত্র ও সম্মানিত স্থান- পবিত্র কা’বা শরীফ ও রওজা শরীফ, মসজিদে নববী শরীফ,
বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ ইত্যাদির ছবি জায়নামাযে
সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ সম্মানিত স্থানসমূহকে মানুষের পায়ের নিচে এনে দিয়েছে। যার
ফলে মুসলমানগণ সেগুলো পদদলিত করবে এবং ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে মুসলমানের
শ্রদ্ধা-ভক্তি, তা’যীম-তাকরীম উঠে যাবে এবং সাথে সাথে ঈমানটাও নষ্ট হয়ে বেঈমান
ও কাফিরে পরিণত হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী তিনি মেছালস্বরূপ বলেন, ছবি তোলা হারাম।
এরপরেও যদি কোনো ব্যক্তি তার পিতার ছবি তোলে, সেই ছবি যদি তৃতীয় কোনো ব্যক্তি পা দিয়ে মাড়ায় তাহলে যার
পিতার ছবি মাড়ানো হয় সে ব্যক্তি কি সেটা সম্মানজনক হিসেবে মেনে নিবে? কখনই সেটা সম্মানজনক হিসেবে গ্রহণ করবে না। বরং যার পিতার
ছবি, সে ওই ব্যক্তির উপর গোস্বা করবে, যে তার পিতার ছবিকে মাড়িয়েছে। কারণ তার পিতার ছবিকে পা দিয়ে
মাড়ানোর কারণে তার পিতাকে ইহানত করা হয়েছে। ইজ্জত, সম্মান করা হয়নি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কারো পিতার ছবি
যদি পা দিয়ে মাড়ানোর কারণে ইহানত হয় তাহলে পবিত্র কা’বা শরীফ, মদীনা শরীফ ও
বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ, যা মহান আল্লাহ
পাক উনার শিয়া’র, তার ছবিকে পা দিয়ে মাড়ালে কী পবিত্র কা’বা শরীফ, মদীনা শরীফ ও
বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এর ইহানত হবে না? অবশ্যই হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ
মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। মক্কা শরীফ ও
মদীনা শরীফ-এর ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করা মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফকে ইহানত করারই
নামান্তর; যা কাট্টা কুফরীর
অন্তর্ভুক্ত।
অপর এক ক্বওল শরীফে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পবিত্র মক্কা শরীফ, কা’বা শরীফ ও তৎসংলগ্ন স্থান ও বস্তুসমূহ মহান আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতে বিশেষভাবে সম্মানিত মর্যাদাপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, সেগুলো কোন কোনটা আল্লাহ পাক-এর নিদর্শনসমূহেরও অন্তর্ভুক্ত।
অপর এক ক্বওল শরীফে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পবিত্র মক্কা শরীফ, কা’বা শরীফ ও তৎসংলগ্ন স্থান ও বস্তুসমূহ মহান আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতে বিশেষভাবে সম্মানিত মর্যাদাপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, সেগুলো কোন কোনটা আল্লাহ পাক-এর নিদর্শনসমূহেরও অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কা’বা শরীফের সীমাহীন ফযীলত ও মর্যাদার কারণেই আমাদের হানাফী
মাযহাবের ফতওয়া মুতাবিক কা’বা শরীফের ছাদে উঠা মাকরূহ তাহরীমী। শুধু তাই নয় ফিক্বাহের
কিতাবে উল্লেখ আছে, বিনা জরুরতে সাধারণ মসজিদের ছাদে উঠাও মাকরূহ। তাই যে সকল
জায়নামাযে পবিত্র কা’বা শরীফের ছবি রয়েছে, তাতে নামায পড়া আদব ও
তাক্বওয়ার খিলাফ বা মাকরূহ্ তান্যীহী। কেননা তা মাটিতে বিছানোর কারণে পদদলিত
হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর যদি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞা করে কা’বা শরীফের নকশা পা দ্বারা মাড়ায় বা দলিত করে তবে স্পষ্ট কুফরী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র রওজা শরীফের উপর উঠা বা
পা রাখা সম্পূর্ণই হারাম। যদি ইহানত বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের জন্য করে, তবে স্পষ্ট কুফরী। শুধু তাই নয়,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
সাথে সংশ্লিষ্ট বা সম্পর্কযুক্ত যা কিছু রয়েছে, সেগুলোকে তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয। আর সেগুলোকে এহানত বা
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কবিরা গুনাহ্ ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তাই হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তা’যীম-তাকরীম বা শানের
খিলাফ হওয়ার কারণে, মসজিদে নববী শরীফ বা রওজা শরীফের ছবি সম্বলিত জায়নামাযে
নামায পড়া হারাম, আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কুফরী।