وما ارسلنك الا رحمة للعالمين
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি।” (সূরা আম্বিয়া : আয়াত শরীফ ১০৭)
১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার দিন। এ দিনে শান্তি ও মুক্তির সওগাত নিয়ে সর্বকালের মানুষের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ নিয়ে এ ধরাধামে তাশরীফ আনেন ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
পৃথিবীর ইতিহাসে বহুদিন ও তারিখ বিভিন্নভাবে মানবজাতির নিকট স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার সবার উপরে শ্রেষ্ঠত্ব ও স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এক দিন। এ দিনটি মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত। এ দিনটি কেবল মানবজাতির জন্য নয়, কেবল সৃষ্টির জন্য নয়, স্বয়ং স্রষ্টার জন্যও কাঙ্খিত ও প্রিয় দিন।
প্রতিটি চন্দ্র মাসের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। তবে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ সবার উপর স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল। রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় যিলক্বদ, যিলহজ্ব, মুহররম ও রজব এ চারটি ছিলো নিষিদ্ধ মাস। তাই আরবদের কাছে উক্ত মাসগুলো ছিলো সম্মানিত। আর দিন হিসেবে অনেক আগে থেকেই শুক্রবার ছিলো পবিত্র ও সম্মানিত। কিন্তু আল্লাহ পাক বারোটি মাসের মধ্যে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসকে এবং সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে পবিত্র সোমবার দিনকে এবং তারিখ হিসেবে পবিত্র বারো তারিখকে স্বীয় হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন ও বিদায়ের দিন হিসেবে গ্রহণ করায় আমরা সহজেই বলতে পারি যে, আল্লাহ পাক উনার নিকট উক্ত মাস, দিন ও তারিখটি সর্বাপেক্ষা প্রিয়, পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ। কারণ প্রেমের ধর্ম হচ্ছে প্রেমিক যখন তার প্রেমাস্পদকে কিছু দান করেন তখন উনার পছন্দমতো প্রিয় জিনিসই দান করেন। আল্লাহ পাক উনার কাছে উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অপেক্ষা প্রিয় সৃষ্টি সারা কায়িনাতের মধ্যে কেউ নেই আর হবেও না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসীতে ইরশাদ করেন-
لولاك لما خلقت الافلاك
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন-
لولاك لما خلقت الجنة
অর্থ: “আপনাকে যদি সৃষ্টি না করতাম তাহলে জান্নাত সৃষ্টি করতাম না।
আরো ইরশাদ হয়েছে-
لولاك لما خلقت النار
অর্থ: “আপনাকে সৃষ্টি না করলে জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না।”
এ থেকে বুঝা যায় যে, এ পবিত্র দিন ও তারিখ ছিলো পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।
সুতরাং ১২ই রবীউল আওয়াল শরীফ দিনটি প্রকৃতপক্ষে একজন মুসলমানের নিকট ঈমানী মূল্যবোধ ও আধ্যাত্মিক চেতনাবহ দিন। এটি এমন একটি দিন যে দিনের বদৌলতে আমরা ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শবে বরাত, শবে ক্বদর তথা ইসলামী জীবন ধারায় প্রতিটি আনন্দ ও উৎসবের দিন লাভে ধন্য হয়েছি। এ পবিত্র দিনটি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনের খুশি নিয়ে যদি পার্থিব জগতে সমাগত না হতো তবে পবিত্র কা’বা শরীফ ও ক্বিবলা শরীফ হতোনা, কুরআন শরীফ অবতীর্ণ হতো না, দ্বীন ইসলাম হতো না। এমনকি কোনো মু’মিন-মুসলমানের অস্তিত্বও হতো অকল্পনীয়।
এ মাস হচ্ছে গুনাহগার বান্দাদের আত্ম সংশোধনের মাস, পাপাচার, অন্যায় হতে তওবা করার প্রকৃষ্ট মাস। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলা দিয়ে এ মাসে যেসব মুসলমান দোয়া করবেন আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহে তাদের দোয়া নিশ্চিত কবুল হবে।
হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বর্ণনা করেন, আবু লাহাব মারা যাওয়ার পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখে তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলাম। সে বললো: আমার মতো বদবখত, বদনসীব যমীনে আর কেউ নেই। কারণ আমাদের বংশে, আমাদের গোত্রে, আমাদের পরিবারে আল্লাহ পাক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন অথচ আমি ঈমানহারা হয়ে কুফরী অবস্থায় যমীন থেকে বিদায় নিয়েছি এবং সর্বপ্রকার আযাব-গযবে গ্রেফতার হয়েছি। তবে এরপরও আমার প্রতি আল্লাহ পাক উনার একটা বিশেষ ইহসান বা অনুগ্রহের এই কারণ হচ্ছে- আমি আমার ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঘরে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত লাভের সুসংবাদে খুশি প্রকাশ করে আমার বাঁদী হযরত সুয়াইবিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে দু’অঙ্গুলী উঠিয়ে বলেছিলাম: আপনি যখন আমাকে এ সুসংবাদ দান করলেন, যান আজ হতে আমি আপনাকে উনার খিদমতের জন্য আযাদ করে দিলাম। যার ফলে আল্লাহ পাক প্রতি সোমবার দিনে আমার ডান হাতের দু’অঙ্গুলী দিয়ে সুমিষ্ট ঠান্ডা পানি প্রবাহিত করেন। আমি তা চুষে চুষে পান করি। যার কারণে আযাব-গযবের কষ্ট আমার অনুভূত হয়না। (মাছাবাতা বিস সুন্নাহ)
স্মরণযোগ্য যে, আবু লাহাব কাট্টা কাফির হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর সংবাদে একজন বাঁদীকে আযাদ করার কারণে যদি আল্লাহ পাক উনার বিশেষ অনুগ্রহের অধিকারী হতে পারে।
তাহলে সেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শের দিকে লক্ষ্য করে উনারই অসন্তুষ্টির কারণসমূহ বর্জন করে উনার সন্তুষ্টি অর্জনকারীগণ যে আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল করবেন তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। অধিকন্তু পবিত্র মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ আল্লাহ পাক উনার বিশেষ রহমত, বরকত ও কামিয়াবী হাছিলের মাস হিসেবে এ মাসের যথাযোগ্য সমাদর ও গুরুত্ব দেয়া অপরিহার্য।
তাহলে সেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শের দিকে লক্ষ্য করে উনারই অসন্তুষ্টির কারণসমূহ বর্জন করে উনার সন্তুষ্টি অর্জনকারীগণ যে আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল করবেন তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। অধিকন্তু পবিত্র মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ আল্লাহ পাক উনার বিশেষ রহমত, বরকত ও কামিয়াবী হাছিলের মাস হিসেবে এ মাসের যথাযোগ্য সমাদর ও গুরুত্ব দেয়া অপরিহার্য।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
واذكروا نعمت الله عليكم
“তোমরা আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের স্মরণ করো; যা তোমাদেরকে প্রদান করা হয়েছে।” (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ১০৩)
সকল মুফাসসিরীনে কিরামগণ এ বিষয়ে একমত যে, সেই শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই এ মাস ও দিনে সেই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়পূর্বক ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ মাহফিল, ছওয়াব রিসানী মাহফিল, তাফসীর মাহফিল, দর্সে হাদীছ শরীফ-এর মাহফিল, কুরআন শরীফ খতম, হামদ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদা শরীফ পাঠ, ইস্তিগফার ও দোয়া করা মুসলিম উম্মাহর জন্য নাজাত ও রহমত লাভের কারণ। এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত হয়েছে-
من عظم ليلة مولده بما امكنه من التعظيم والاكرام كان من الفائزين بدار السلام
অর্থ: “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতের সময়কে তার সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী তা’যীম-তাকরীম করবে; সে জান্নাতের মাধ্যমে সফলতা লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, উপমহাদেশের বিশিষ্ট হাদীছ বিশারদ হযরত শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রতি বছর রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের বারো তারিখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের আয়োজন করতেন এবং মাহফিল শেষে শ্রোতাদের জন্য তাবারুকের ব্যবস্থাও করতেন। কিন্তু এক বছর আর্থিকভাবে কিছুটা অসচ্ছলতার কারণে তেমন উল্লেখযোগ্য তাবারুকের ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি অস্থির, পেরেশান হয়ে পড়লেন যে, আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ মাহফিল, তাতে ভালো খাবারের বন্দোবস্ত করতে পারলাম না, শুধু ছোলা বা বুট ভাজার ব্যবস্থা করা হলো! মাহফিল শেষে এ চিন্তা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুমের ভিতর তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, স্বয়ং আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন এবং হুজরা শরীফ-এ রাখা অবশিষ্ট ছোলা বা বুট ভাজা নিয়ে খাচ্ছেন এবং খুশি প্রকাশ করছেন। এতদ্বদর্শনে হযরত শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার মনের অস্থিরতা দূর হয়ে গেলো এবং আমি নিশ্চিত হলাম যে, আল্লাহ পাক আমার উক্ত মীলাদ শরীফ মাহফিলের যাবতীয় খিদমতকে কবুল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ থাকে যে, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে আগমনের বছর পূর্ব হতে রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে বসন্তের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিলো না। প্রকৃতিতে চলছিলো এক রুদ্ররূপ। অনাবৃষ্টি ও অভাবের ফলে মানুষ কঠিন বিপদের ভিতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছিলো। কিন্তু যে বছর রসূলে মকবুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনার নিকট তাশরীফ নেন সে বছর প্রকৃতি যেনো তার সবকিছু উজাড় করে দিচ্ছিলো।
আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি, বৃক্ষরাজি, পশু-পাখি সবার মাঝে এক অজ্ঞাত আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে। শুষ্কবৃক্ষ তরুতাজা ও ফলবন্ত হয়ে যায়। তখন কুরাইশরা এ বছরের নাম দিলো-
سنة الفتح والابتهاج
খুশি, আনন্দ ও সঞ্জীবনের বছর। আরবী ভাষায় রবীউল আউয়াল শরীফ বলতে বুঝায় সঞ্জীবনের মাস। আর সেই সঞ্জীবনী সুধা হলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন প্রথম হতেই ঈদের দিন হিসেবে শুভ সূচনা হয়ে আছে।
উপমহাদেশের বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত ও সমাদৃত কিতাব ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ কিতাবে বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ- পবিত্র শবে ক্বদর হতে বেশি ফযীলত ও তাৎপর্যের দাবিদার। এর পক্ষে তিনি কয়েকটি যুক্তি ও কারণ উল্লেখ করেন।
প্রথমত: শবে বিলাদত হলো হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সত্তার প্রকাশ রজনী। আর শবে ক্বদর হলো উনাকে দানকৃত একটি পবিত্র রজনী। অতএব, শবে ক্বদর হতে মীলাদুন নবী দিবস ফযীলতপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত: ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় বলে শবে ক্বদরের মর্যাদা। আর হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের কারণে হয়েছে শবে বিলাদতের ফযীলত ও বুযুর্গী।
তৃতীয়ত: শবে ক্বদরে কেবল উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ফজল ও করম অবতীর্ণ হয়। আর শবে বিলাদতে সমগ্র সৃষ্টির উপর রহমত ও বরকত নাযিল হয়। সুতরাং এ দিন অন্যান্য দিন অপেক্ষা অত্যধিক বরকত ও রহমতপূর্ণ। এমনকি পবিত্র রমযান মাসের ফযীলত এ মাসের তুলনায় কম। কারণ মাহে রমযান শরীফ বুযুর্গীর দাবিদার এ জন্য যে, এ মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ হয়েছে। পক্ষান্তরে, রবীউল আউয়াল শরীফ শরীফ-এর বুযুর্গীর কারণ হচ্ছে- এ মাসে ছাহিবে কুরআন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই মু’মিনের প্রকৃত ঈদ হচ্ছে এ মাসেই। কারণ এ মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দান করেছেন যিনি সমগ্র সৃষ্টির জন্য বিশেষ রহমত ও বড় নিয়ামত।
- মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ বিশেষ সংখ্যা-১৪৩২ হিজরী