যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এক মজলিসে জুমুয়ার ফযিলত সম্পর্কিত আলোচনায় একথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, জুমুয়া ও ঈদের নামাযের খুৎবাতে লাঠি ব্যবহার করা সুন্নত। তিনি বলেন, অনেকে খুৎবার সময় লাঠি ব্যবহার করা বিদ্য়াত বা মাকরূহ বলে থাকে। তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। কেননা, ছহীহ হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (খুৎবার সময়) লাঠি মুবারক অথবা ধনুকের উপর ভর করে দাঁড়াতেন।
মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুল লুমুয়াত, লুমুয়াত, মুযাহিরে হক্ব, শরহুত্ ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ ইত্যাদি কিতাবের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হযরত আতা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খুৎবা দিতেন তখন তিনি লাঠি মুবারকের উপরে ভর করে খুৎবা দিতেন।
ফিক্বাহ্র নির্ভরযোগ্য ও বিশ্ববিখ্যাত কিতাব গায়াতুল আওতারের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, (জুমুয়া ও ঈদের) খুৎবার মধ্যে দাঁড়ানো যেরূপ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত তদ্রুপ খুৎবার সময় লাঠি মুবারক ব্যবহার করাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, গায়াতুল আওতার, রদ্দুল মুহতার, শামী, মুহীত, সিফরুস সায়াদাত, মাজমাউল বিহার, মারাক্বিউল ফালাহ, বাহরুর রায়িক ইত্যাদি কিতাবে অনরূপ উল্লেখ আছে।
শরহে বিক্বায়া ১ম খণ্ডের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সেখানে উল্লেখ আছে, নামাযের মত খুৎবাতে হাত বাঁধতে হবে না বরং লাঠি বা ধনুক হাতে (ভর করে) দাঁড়ানো অধিকতর উত্তম। কিন্তু লাঠি ব্যবহার করা ফরয ওয়াজিব নয় (বরং সুন্নত)।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এছাড়া ফিক্বাহ্র প্রায় সব কিতাবসমূহেই জুমুয়া ও ঈদের খুৎবার সময় লাঠি ব্যবহার করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সকলকে সুন্নতের ব্যাপারে বদ আক্বীদা পরিহার করে জুমুয়া ও ঈদের খুৎবায় লাঠি মুবারক ব্যবহারের খাছ সুন্নত আমল করার আহবান জানান।