যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম
ও মুজতাহিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমামুল আ’ইম্মাহ, কুতুবুল
আলম, আওলাদে
রসূল, সাইয়্যিদুনা
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী রাজারবাগ
শরীফ-এ
এক আলোচনা
মজলিসে এসব
কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আমরা যেভাবে
মজলিস করে
মীলাদ শরীফ-এর মাহফিল
করে থাকি
তা খোদ
আল্লাহ পাক-এর হাবীব,
নূরে মুজাস্সাম হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এবং
হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণের
যামানাতেই ছিলো। এ সম্পর্কে
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ
হয়েছে, “হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু হতে
বর্ণিত।
তিনি একদা
তাঁর নিজগৃহে
সমবেত ছাহাবীগণকে
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ
শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ
ও খুশী
প্রকাশ করছিলেন
এবং আল্লাহ
পাক-এর
প্রশংসা তথা
তাসবীহ-তাহলীল
পাঠ করছিলেন
এবং আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর
উপর ছলাত
ও সালাম
তথা দরূদ
শরীফ পাঠ
করছিলেন।
এমন সময়ে
রসূলে পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেথায়
উপস্থিত হলেন
এবং মীলাদ
শরীফ-এর
পাঠের অনুষ্ঠান
দেখে বললেন,
তোমাদের জন্য
আমার শাফায়াত
ওয়াজিব।”
হাদীছ শরীফ-এ
আরো ইরশাদ
হয়েছে, “হযরত
আবু দারদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। একদা
তিনি রসূলে
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর
সাথে হযরত
আবু আমির
আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু-এর গৃহে
উপস্থিত হয়ে
দেখতে পেলেন
যে, তিনি
তাঁর সন্তানাদি
এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতী-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে
রসূলে পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ
শুনাচ্ছেন এবং বললেন, এই দিবস
এই দিবস
অর্থাৎ এই
দিবসে রসূলে
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম যমীনে
তাশরীফ এনেছেন। এই
দিবসে এটা
সংঘটিত হয়েছে
ইত্যাদি।
এতদ্শ্রবণে
রসূলে পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ
পাক তাঁর
রহমতের দরজা
আপনার জন্য
উন্মুক্ত করেছেন
এবং সমস্ত
ফেরেশতাগণ আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা
করছেন এবং
যে কেউ
আপনার মত
এরূপ কাজ
করবে,আপনার
মত সেও
নাযাত বা
ফযীলত লাভ
করবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
উপরোক্ত হাদীছ
শরীফদ্বয় থেকে
প্রথমতঃ যে
বিষয় প্রমাণিত
হলো তা
হলো, হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘মীলাদ শরীফ-এর’ মজলিস
করেছেন।
আর আখিরী
রসূল হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা
শুধু সমর্থন
করেননি বরং
মীলাদ শরীফ-এর মজলিস
করার জন্যে
উম্মতদেরকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন।
সুতরাং প্রমাণিত
হলো, মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিস করা
সুন্নতে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও
সুন্নতে ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম।
দ্বিতীয়তঃ যে বিষয়টা
প্রমাণিত হলো
তা হলো,
বর্তমানে যে
মীলাদ শরীফ-এর মজলিস
করা হয়
তা মূলতঃ
হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণের
অনুসরণেই করা
হয়।
কারণ, হাদীছ
শরীফ-এ
বর্ণিত হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মীলাদ শরীফ
আর বর্তমান
মীলাদ শরীফ-এর মজলিসের
মধ্যে মৌলিক
কোন পার্থক্য
নেই।
[মীলাদ শরীফে যা করা হয়]
কারণ উল্লিখিত হাদীছ
শরীফ দ্বয়ে
উল্লেখ আছে
হযরত ছাহাবায়ে
কিরামগণ মীলাদ
শরীফের মজলিসে
সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ পাক-এর
প্রসংশা করেন। বর্তমান
মীলাদ শরীফের
মজলিসেও কুরআন
শরীফ তিলাওয়াতের
মাধ্যমে সর্বপ্রথম
মহান আল্লাহ
পাক-এর
প্রসংশা করা
হয়।
অতপর হযরত ছাহাবায়ে
কিরামগণ ছলাত-সালাম পাঠ
করেছেন।
বর্তমান মীলাদ
শরীফের মজলিসেও
ছলাত-সালাম
পাঠ করা
হয়।
উক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ে
আরো উল্লেখ
আছে হযরত
ছাহাবায়ে কিরামগণ
উক্ত মীলাদ
শরীফের মজলিসে
নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
ছানা-ছিফত
করেছেন ও
বিলাদত শরীফের
আলোচনা করেছেন। বর্তমান
মীলাদ শরীফ-এর মজলিসেও
‘তাওয়াল্লুদ’
শরীফ পাঠ
করার মাধ্যমে
নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
ছানা-ছিফত
করা হয়
ও বিলাদত
শরীফ-এর
আলোচনা করা
হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
হয়তবা কেউ
বলতে পারে
যে, উক্ত
হাদীছ শরীফদ্বয়ে
তো ক্বিয়াম
বা দাঁড়িয়ে
সালাম দেয়ার
কথা উল্লেখ
নেই?
[ক্বিয়াম শরীফ এর দলীল]
হ্যাঁ, উক্ত হাদীছ
শরীফ-এ
যেরূপ ক্বিয়াম
করার কথা
উল্লেখ নেই,
তদ্রুপ ক্বিয়াম
করেননি একথাও
তো উল্লেখ
নেই।
তবে বাস্তবতা
ও অন্যান্য
হাদীছ শরীফ
প্রমাণ করে
যে, হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উক্ত মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিসে ক্বিয়াম
করেছেন।
কারন, বর্ণিত
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ
আছে যে,
আখিরী রসূল,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উক্ত মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিসে স্বশরীরে
উপস্থিত হলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আর এটা
বলার অপেক্ষাই
রাখে না
যে, আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর
আগমনে হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ তাঁর সম্মানার্থে
‘ক্বিয়াম’ করেছেন। কারণ,
অন্যান্য বহু
হাদীছ শরীফ
প্রমাণ করে
যে, আখিরী
রসূল, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন
ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মজলিসে উপস্থিত
হতেন তখন
হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ
তাঁর সম্মানার্থে
‘ক্বিয়াম’ করতেন। যেমন,
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ
আছে, হযরত
আবু হুরায়রা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একদা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের
মাঝে বসে
আমাদেরকে নছীহত
বা ওয়াজ
করছিলেন।
যখন তিনি
উঠলেন বা
দাঁড়ালেন, আমরাও সাথে সাথে দাঁড়িয়ে
গেলাম, ততক্ষণ
পর্যন্ত যতক্ষণ
আমরা তাঁকে
দেখতে পাচ্ছিলাম। এমনকি
উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুন্নাগণের
ঘরে প্রবেশ
না করা
পর্যন্ত আমরা
দাঁড়িয়ে রইলাম।
অন্য হাদীছ শরীফ-এ আরো
ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম হতে
বর্ণিত।
তিনি বলেন,
হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম যখন রসূলে
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-উনার নিকট
যেতেন, তখন
তিনি দাঁড়িয়ে
যেতেন এবং উনার হাত
মুবারকে বুছা
দিয়ে নিজের
স্থানে বসাতেন। আর
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন
হযরত ফাতিমা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-উনার নিকট
যেতেন, তখন
তিনি দাঁড়িয়ে
রসূলে পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার
হাত মুবারক
বুছা দিয়ে
নিজের স্থানে
বসাতেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
যদি তাই
হয়ে থাকে,
তবে একথা
কি করে
বিশ্বাস করা
যেতে পারে
যে, আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব, নূরে
মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উক্ত মীলাদ
শরীফ-এর
মসলিসে স্বশরীরে
উপস্থিত হলেন
অথচ হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ক্বিয়াম করেননি।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
এখন কেউ
আবার এ
প্রশ্নও করতে
পারে যে,
মেনে নিলাম
হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বশরীরে
উক্ত মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিসে উপস্থিত
হওয়ার কারণে উনার সম্মানার্থে
ক্বিয়াম করেছেন। কিন্তু
বর্তমানে মীলাদ
শরীফ-এর
সকল মজলিসেই
কী আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব উপস্থিত
হন? যদি
উপস্থিত না
হন তবে
ক্বিয়াম করা
হয় কেন?
এর জবাবে বলতে
হয় যে,
মূলতঃ মীলাদ
শরীফ-এ
যে ক্বিয়াম
করা হয়
তা শুধু
সুন্নতই নয়;
বরং আদব,
শরাফত ও
তা’যীম
বা সম্মানার্থেই
করা হয়। অর্থাৎ
আখিরী রসূল,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি
‘সালাম’ পেশ
করার সময়
ক্বিয়াম করা
বা ‘দাঁড়িয়ে
‘সালাম’ দেয়াই
সুন্নত ও
আদব।
চাই আখিরী
রসূল হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উপস্থিত
থাকুন আর
অনুপস্থিত থাকুন। সর্বাবস্থায় দাঁড়িয়ে
সালাম দেয়াই
সুন্নত, আদব,
শরাফত ও
ভদ্রতা।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
মাওলানা আশরাফ
আলী থানবীর
খলীফা শামছূল
হক্ব ফরীদপুরী
তার ‘তাছাওউফ
তত্ত্ব’ নামক
কিতাবের ৪১
পৃষ্ঠায় লিখেছে,
“.... হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামকে সালাম করার সময় বসে
বসে সালাম
করা শরীফ
তবীয়তের লোকের
কাছে বড়ই
বেয়াদবী লাগে। সেজন্য
রওজা শরীফ-এর সামনে
নিজেকে হাজির
মনে করে
দাঁড়িয়ে সালাম
করাতে কোনই
দোষ হতে
পারে না। যেমন,
মদীনা শরীফ-এ রওজা
শরীফ-এর
সামনে সালাম
করার সময়
সকলেই দাঁড়িয়ে
সালাম করে
থাকেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
মাওলানা শাসছূল
হক্ব ফরীদপুরীর
উক্ত বক্তব্য
দ্বারাও প্রমাণিত
হলো যে,
মীলাদ শরীফ-এ যে ক্বিয়াম করা
হয়, তা
মুহব্বত, আদব,
শরাফত ও
তা’যীমার্থে
করা হয়। এখানে
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
উপস্থিত হওয়া
না হওয়ার
কোন সম্পর্ক
নেই।
তাছাড়া ক্বিয়াম
বিরোধীরা কি
এরূপ একখানা
দলীল পেশ
করতে পারবে-
যেখানে উল্লেখ
আছে যে,
আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম
দেয়ার সময়
দাঁড়িয়ে সালাম
দেয়া নিষেধ
বা নাজায়িয।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
মূলতঃ একখানা
দলীলও তারা
পেশ করতে
পারবে না। যদি
তাই হয়ে
থাকে তবে
ক্বিয়াম করাকে
বা দাঁড়িয়ে
সালাম দেয়াকে
কি করে
নাজায়িয ও
বিদ্য়াত
বলা যেতে
পারে? বস্তুতঃ
মীলাদ শরীফ-এ ক্বিয়াম
করা হচ্ছে
খাছ সুন্নত
ও আদবের
অন্তর্ভুক্ত। এটাকে বিদ্য়াত,
নাজায়িয বলা
সুস্পষ্ট কুফরী।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ
মীলাদ শরীফ-এর মসলিস
করেছেন শুধু
তাই নয়
বরং মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিসে সন্তুষ্টি
ও খুশি
প্রকাশ করেছেন
এবং আল্লাহ
পাক-এর
হাবীব, নূরে
মুজাস্সাম
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটাকে
পূর্ণ সমর্থন
করেছেন।
শুধু তাই
নয় উক্ত
মজলিসের অশেষ
ফযীলত বর্ণনা
করে উম্মতদেরকে
মীলাদ শরীফ-এর মজলিস
করার জন্য
উৎসাহিত করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগণ
যে মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিস করেছেন,
সে মজলিসের
সাথে বর্তমান
মীলাদ শরীফ-এর ‘তরতীবগত’
সামান্য পার্থক্য
ছাড়া মৌলিক
বিষয়ে কোন
পার্থক্যই নেই। তাই মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিস শুধুমাত্র
খাছ সুন্নতে
ছাহাবাই নয়
বরং মীলাদ
শরীফ-এর
মজলিস খাছ
সুন্নতে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
অন্তর্ভুক্ত। এটাকে বিদ্য়াত-নাজায়িয বলা
কাট্টা কুফরীর
অন্তর্ভুক্ত।