যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম
ও মুজতাহিদ,
ইমামুল আইম্মাহ,
মুহইস সুন্নাহ,
কুতুবুল আলম,
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল,
হাবীবুল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেছেন,
মহান আল্লাহ
পাক ইরশাদ
করেন, “তোমাদের
মধ্যে যারা
অসুস্থ অথবা
মুসাফির তারা
অন্য সময়
রোযা রাখলেও
চলবে।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ
হয়েছে, “রোযা
অবস্থায় শরীরের
ভিতরে কিছু
প্রবেশ করলে
অবশ্যই রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।”
আল্লাহ পাক ইসলামকে
বান্দাদের জন্য কঠিন নয় সহজ
করেছেন।
কিন্তু ইহুদী,
নাছারার দালাল
কতিপয় নীম
হেকিম ও
নীম মোল্লারা
রোযা অবস্থায়
ইনকেজকশন, ইনসুলিন ও ইনহেলার গ্রহণের
কথা বলে
দ্বীনকে কঠিন
করতে চায়
ও ফরয
রোযা নষ্ট
করতে চায়।
শরীয়তের ছহীহ ও
গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- রোযা অবস্থায়
যে কোন
ধরনের ইনজেকশন,
ইনসুলিন ও
ইনহেলার নেয়া
হোক না
কেন তাতে
অবশ্যই রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
বাংলাদেশ এন্ড্রোক্রাইন সমিতির
পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইহুদী সংগঠন ‘নোভো
নরডিস্ক’-এর
আর্থিক সহযোগিতায়
‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রচারিত- মিসর
ও বাংলাদেশ’-এর কতিপয়
ধর্মব্যবসায়ী মৌলভীদের দেয়া ‘রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন, ইনসুলিন
নেয়া সম্পর্কিত
ফতওয়া সম্পূণরূপে
অশুদ্ধ ও
কুরআন-সুন্নাহ্র খিলাফ
হওয়ায় গ্রহণযোগ্য
নয়।
বাংলাদেশ এন্ড্রোক্রাইন সমিতির
পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইহুদী সংগঠন ‘নোভো
নরডিস্ক’-এর
আর্থিক সহযোগিতায়
‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি- মিসর ও
বাংলাদেশ’-এর কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী মৌলভীদের
‘রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন, ইনসুলিন
নেয়া সম্পর্কিত
ভুল ফতওয়া
সম্বলিত যে
পোস্টার প্রচার
করেছে তার
প্রতিবাদে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
কুরআন মজীদে
আরো ইরশাদ
হয়েছে, “সুতরাং
তোমাদের মধ্যে
যে কেউ
রমযান মাস
পাবে, তাকে
অবশ্যই রোযা
রাখতে হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
রমযান মাসের
৩০ দিন
বা ২৯
দিন (চাঁদের
হিসাব মোতাবেক)
রোযা রাখা
ফরয।
এটার অস্বীকারকারী
কাফির এবং
তরক করলে
কবীরা গুনাহ
হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
শরীয়ত সম্পর্কিত
সকল বিষয়ের
প্রয়োজনীয় ইল্ম অর্জন করা
যেমন ফরয
তদ্রুপ রোযা
অবস্থায় ইনজেকশন
নিলে রোযা
ভঙ্গ হবে
কিনা এ
সম্পর্কিত ইল্ম অর্জন করাও
ফরয।
সুতরাং যারা
না জেনে
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন নেবে,
ইনসুলিম গ্রহণ
করবে তারা
এ সম্পর্কিত
ইল্ম
অর্জন না
করার কারণে
ফরয তরকের
গুনাহে গুনাহগার
হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
রোগ নিরাময়ের
জন্যে আমরা
বিভিন্ন পদ্ধতিতে
ওষুধ সেবন
করি এর
মধ্যে ইনজেকশন
ও ইনসুলিন
গ্রহণও একটি
পদ্ধতি।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
ওষুধ মূলতঃ
রক্তস্রোতের মাধ্যমেই শরীরের বিভিন্ন অংশে
ছড়িয়ে থাকে। অর্থাৎ
রক্ত হচ্ছে
এমন একটি
মাধ্যম, যার
মধ্য দিয়ে
খাদ্য, অক্সিজেন,
পানি এবং
অন্যান্য প্রয়োজনীয়
উপাদান টিস্যুসমূহে
পৌঁছে এবং
বর্জ্য দ্রব্যসমূহ
বহন করে
নিয়ে আসে। এটা
এক ধরনের
সংযোগ কলা। সুতরাং
ওষুধ শরীরের
সর্বাংশে ছড়ায়,
অর্থাৎ মগজে
পৌঁছে।
যে কোন জখম
বা আঘাতেই
ওষুধ প্রয়োগ
করা হোক
না কেন,
তা যদি
শিরায় পৌঁছে,
তবে তা
সহজে মগজে
পৌঁছবে।
এ ব্যাপারে
ফিক্বাহ্র
কিতাবে উল্লেখ
করা হয়েছে,
জায়েফা (পাকস্থলী)
ও আম্মাতে
(ব্রেইন) যে
ওষুধ দেয়া
হয়, উক্ত
ওষুধ যদি
শুকনা হয়,
তবে রোযা
ভঙ্গ হবে
না।
কেননা, উক্ত
ওষুধ পেট
অথবা মগজে
পৌঁছে না। আর
যদি জানা
যায় যে,
উক্ত ওষুধ
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছে,
তবে ইমাম
আবু হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মতে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
আর ওষুধ
যদি ভিজা
হয়, তবে
ইমামে আ’যম, হযরত
ইমাম আবু
হানীফা রহমতুল্লাহি
আলাইহি-এর
মতে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
ইনজেকশন যেভাবে
রক্তস্রোতের দ্বারা মগজে পৌঁছে একই
কায়দায় সব
ধরনের স্যালাইনই
মগজে পৌঁছে। তাই
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন নিলে
রোযা তো
থাকবেই না;
আর স্যালাইন
গ্রহণ করলে
তো রোযা
থাকার প্রশ্নই
উঠে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
এ প্রসঙ্গে
‘মাবসূত’ কিতাবে
উল্লেখ করা
হয় যে,
“হযরত ইমাম
আবু হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রোযা ভঙ্গের
কারণ হলো-
রোযা ভঙ্গকারী
কোন কিছু
ভিতরে প্রবেশ
করা, সুতরাং
পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য
।”
আর ফতহুল ক্বাদীর
২য় জিল্দ ২৬৬
পৃষ্ঠায় উল্লেখ
করা হয়েছে
যে “হযরত
ইমাম আবু
হানীফা রহমতুল্লাহি
আলাইহি-এর
নিকট পৌঁছাটাই
গ্রহণযোগ্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
অতএব মূল
রাস্তা দিয়ে
প্রবেশ করুক
অথবা মূল
রাস্তা ব্যতীত
অন্য যে
কোন স্থান
দিয়েই প্রবেশ
করুক না
কেন, যদি
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছে,
তবে রোযা
অবশ্যই ভঙ্গ
হয়ে যাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
এতে কোন
সন্দেহ নেই
যে, রোযা
অবস্থায় ইনজেকশন
নিলে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
কেননা, চিকিৎসা
বিজ্ঞানের মতে ইনজেকশনের দ্বারা প্রবেশকৃত
ঔষধ পাকস্থলী
ও মগজে
পৌছে থাকে। আর
শরীয়তের বিধান
হলো, পাকস্থলী
বা মগজে
কিছু প্রবেশ
করলেই রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
তা যে
ভাবে এবং
যে স্থান
দিয়েই প্রবেশ
করুন না
কেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
এর স্বপক্ষে
ফিক্বাহ ও
ফতওয়ার নির্ভরযোগ্য
কিতাবসমূহের অসংখ্য দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন,
“হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া”
কিতাবের ১ম
খণ্ডের ২২০
পৃষ্ঠায় উল্লেখ
আছে, “এবং
যদি কোন
ব্যক্তি ইনজেকশন
নেয়.... তাহলে
রোযা ভঙ্গ
হবে।
কারণ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ
করেন, “কিছু
ভিতরে প্রবেশ
করলে রোযা
ভঙ্গ হবে।”
“বাহারুর রায়েক” কিতাবের
২য় খণ্ডের
২৭৮ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে,
“যদি কোন
ব্যক্তি ইনজেকশন
নেয়... তাহলে
রোযা ভঙ্গ
হবে।
কারণ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন,
কিছু ভিতরে
প্রবেশ করলে
রোযা ভঙ্গ
হবে এবং
বের হলে
রোযা ভঙ্গ
হবেনা।”
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের
১ম খন্ডের
২০৪ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে,
“এবং যদি
কোন ব্যক্তি
ইনজেকশন নেয়.....
তাহলে রোযা
ভঙ্গ হবে।” অনুরুপ
“ফতওয়ায়ে শামীতে”ও উল্লেখ
আছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
কোন কোন
জাহিল মৌলভী
বলে থাকে
যে, উল্লিখিত
ফিক্বাহ্র
কিতাবসমূহে যে ‘হুকনা’ বা ‘ইহ্তাক্বানা’ শব্দ
উল্লেখ আছে
তার অর্থ
ইনজেকশন নয়। বরং
তার অর্থ
হলো ‘ডুশ
বা সাপোজিটর। যা
বায়ুপথে দেয়া
হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
তাদের উক্ত
বক্তব্য চরম
জিহালতি, ধোঁকা,
প্রতারণা, গুমরাহীমূলক ও কুফরীর শামীল। কারণ,
সমস্ত আরবী
কিতাব ও
অভিধানগ্রন্থে ‘হুকনা’ বা ‘ইহ্তাক্বানা’
শব্দের অর্থ
সরাসরি ইনজেকশন
বা সিরিঞ্জ
বলে উল্লেখ
আছে।
যেমন, আরবী-উর্দূ অভিধান
‘কামুস আল
জাদীদ’ গ্রন্থে
উল্লেখ আছে,
“হুকনাতুন- অর্থ ইনজেকশন, সিরিঞ্জ।’
‘আধুনিক আরবী-বাংলা’ অভিধান
গ্রন্থে উল্লেখ
আছে, ‘ইহ্তাকানুন’ অর্থ
ইনজেকশন এবং
সরাসরি ইহ্তাক্বানা ‘ইনজেকশন
নেয়া’ শব্দটিও
উল্লেখ রয়েছে। এমনিভাবে
সমস্ত লোগাত
বা অভিধানগ্রন্থে
‘ইহ্তাক্বানা’
শব্দের অর্থ
ইনজেশকশন বলে
উল্লেখ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আবার কোন
কোন জাহিল
মৌলভী বলে,
‘ইনজেকশন ইত্যাদি
মূলরাস্তা যেমন, নাক-কান, মুখ,
বায়ুপথ দিয়ে
প্রবেশ করা
শর্ত।’
মূলতঃ তাদের
এ বক্তব্যও
চরম জিহালতের
শামিল।
কারণ, ফিক্বাহ্র বিখ্যাত
কিতাব ‘মাবসূত’-এ উল্লেখ
আছে, “ইমামে
আ’যম,
হযরত ইমাম
আবু হানিফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রোযা ভঙ্গের
কারণ হলো-
রোযা ভঙ্গকারী
কোনকিছু ভিতরে
প্রবেশ করা। সুতরাং
পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য। মূল
রাস্তা নয়।” অর্থাৎ
মূল রাস্তা
শর্ত নয়। যে
কোনভাবে মগজে
অথবা পাকস্থলীতে
পৌঁছলেই হলো। অনুরূপ
ফিক্বাহ্র
বিখ্যাত কিতাব
“ফতহুল ক্বাদীর”-এ উল্লেখ
আছে, “হযরত
আবু হানিফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট পৌঁছাটাই
গ্রহণযোগ্য (মূল রাস্তা নয়)।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
এখানে একটি
বিষয় খুবই
লক্ষণীয়, তাহলো-
কারো যদি
রোযা অবস্থায়
দিনের বেলায়
ইনজেকশন নেয়ার
খুব বেশি
প্রয়োজন হয়ে
যায়, তবে
তার জন্যে
রোযা না
রাখার হুকুম
তো শরীয়তেই
রয়েছে ।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
যেমন আল্লাহ
পাক বলেন,
“আর যদি
কেউ অসুস্থ
বা মুসাফির
হয়, তবে
অন্য সময়
রোযাগুলো আদায়
করবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
এখন কেউ
প্রশ্ন করতে
পারেন যে,
অসুস্থতার কারণে, মুসাফির সফরের কারণে
অথবা কারো
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন নেয়ার
প্রয়োজন হলো,
অনুরূপ শরয়ী
কোন ওজরের
কারণে যদি
কেউ রমযান
মাসে রোযা
না রাখে
এবং অন্য
সময় রোযাগুলো
আদায় করে
নেয়, তবে
সে রমযান
মাসের ন্যায়
ফযীলত লাভ
করতে পারবে
কিনা?
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
হ্যাঁ- কেউ
যদি অসুস্থতার
কারণে, সফর
অথবা শরয়ী
যেকোন ওজরের
কারণে রমযান
মাসে রোযা
রাখতে না
পারে এবং
অন্য সময়
রোযাগুলো আদায়
করে নেয়,
তবে সে
রমযান মাসের
ন্যায় সকল
ফাযায়িল-ফযীলত
হাছিল করতে
পারবে।
কারণ শরীয়তের
কোথাও উল্লেখ
নেই যে,
এরূপ ব্যক্তি
রমযানের ফাযায়িল-ফযীলত হাছিল
করতে পারবেনা।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
উপরোক্ত আলোচনা
দ্বারা এটাই
প্রমাণিত হয়
যে, যারা
ওজর বশতঃ
বা অসুস্থতার
কারণে রমযান
মাসের রোযা
রাখতে পারবেনা,
তারা অন্য
সময় উক্ত
রোযাগুলো আদায়
করলে অবশ্যই
রমযান মাসের
ন্যায় সুযোগ-সুবিধা অর্থাৎ
ফাযায়িল-ফযীলত
লাভ করতে
পারবে।
বরং অনেক
ক্ষেত্রে উল্লিখিত
অবস্থায় রোযা
রাখার মধ্যেই
বরং কোন
ফায়দা বা
ছওয়াব নেই। যেমন
এ প্রসঙ্গে
হাদীস শরীফ-এ ইরশাদ
হয়েছে, হযরত
জাবির (রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু
বর্ণনা করেন-
একবার রসূলে
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম সফরে
ছিলেন, একস্থানে
লোকের ভিড়
দেখলেন, (সেখানে
গিয়ে দেখলেন)
এক ব্যক্তির
উপরে ছায়া
দেয়া হচ্ছে। (এটা
দেখে) হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম জিজ্ঞাসা
করলেন, “এখানে
কি?” লোকেরা
বললো- (যাকে
ছায়া দেয়া
হচ্ছে) সে
একজন রোযাদার,
(তখন) হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেন,
“সফরে রোযা
রাখা ছওয়াবের
কাজ নয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
কিন্তু অসুস্থতার
পরও যদি
কেউ ইনজেকশন
বা ইনসুলিন
নিয়ে রোযা
রাখতে চায়
তাহলে সেটা
কুরআন শরীফ-এর আয়াতের
বিরোধিতা তথা
আল্লাহ পাক
ও উনার
হাবীব ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর
বিরোধিতা করা
হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
আল্লাহ পাক
বলেছেন, নিশ্চয়ই
ধর্মে কোন
জবরদস্তি নেই। কিন্তু
ইহুদী-নাছারাদের
দালাল কতিপয়
অর্ধশিক্ষিত ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা তথা নিম
মোল্লা ও
অনভিজ্ঞ ডাক্তার
তথা নীম
হেকিমরা মুসলমানদের
জন্য মাসয়ালা
কঠিন করতে
চাইছে।
এবং মুসলমানদের
ফরয রোযাকে
নষ্ট করার
জন্য উঠে
পরে লেগেছে। যেখানে
স্বয়ং আল্লাহ
পাক অসুস্থ
রোগীদের জন্য
পরে ক্বাযা
আদায় অথবা
ফিদিয়া দেয়ার
ব্যবস্থা রেখেছেন
সেখানে তারপরেও
অসুস্থ রোগীদের
জন্য জোর
করে ইনজেকশন
বা ইনসুলিন
নিয়ে রোযা
রাখার কথা
বলা দ্বীনের
মধ্যে কমবেশি
করা।
দ্বীনকে কষ্টকর
করা।
যা প্রকাশ্য
গুমরাহীর শামিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
সউদী আরব,
মিসর, বাংলাদেশসহ
বিশ্বের যেসকল
তথাকথিত মুফতীরা
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন, ইনসুলিন
নেয়ার পক্ষে
বলছে তারা
মূলত ইহুদীদের
প্রতারণায় পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে দুনিয়ার
লোভে তাদের
টাকা খেয়ে
এরূপ করছে। উদ্দেশ্য
হলো মুসলমানদের
ফরয রোযাকে
নষ্ট করে
দেয়া।
যা তাদের
একটি সূক্ষ্ম
ষড়যন্ত্র।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
তথাকথিত মুফতীরা
যে, ইহুদীদের
দালাল হয়ে
ইহুদীদের পক্ষে
কাজ করছে
তার প্রমাণ
হচ্ছে, ডায়াবেটিক
সমিতির প্রচারিত
পোস্টার।
যা তারা
ডেনমার্কে ইহুদী প্রতিষ্ঠান (নোভো
নরডিস্ক) এর
আর্থিক সহযোগিতায়
প্রকাশ ও
প্রচার করছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
মহান আল্লাহ
পাক ইরশাদ
করেন, “তোমরা
(মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় ও কঠিন শত্রু
হিসেবে পাবে
ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।” মহান
আল্লাহ পাক
অন্যত্র ইরশাদ
করেন, “ইহুদী-নাছারারা হিংসাবশতঃ
চায় ঈমানদারকে
কুফরীতে নিমজ্জিত
করতে বা
জাহান্নামী করতে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
মহান আল্লাহ
পাক যেখানে
ইহুদী-নাছারা
ও মুশরিকদেরকে
মুসলমানদের বড় শত্রু হিসেবে এবং
মুসলমানদেরকে ঈমানহারাও জাহান্নামী করার ষড়যন্ত্রকারী
হিসেবে উল্লেখ
করেছেন।
সেখানে সেই
ইহুদী-নাছারা
ও মুশরিকরা
মুসলমানদের ইসলাম প্রচার ও পালনের
জন্য অর্থ
দিবে সহযোগিতা
করবে তা
কস্মিনকালেও হতে পারে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
শরীয়তের ছহীহ
ও গ্রহণযোগ্য
ফতওয়া হলো-
রোযা অবস্থায়
যে কোন
ধরনের ইনজেকশন,
ইনসুলিন ও
ইনহেলার নেয়া
হোক না
কেন তাতে
অবশ্যই রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
সউদী আরব,
মিসর, বাংলাদেশসহ
বিশ্বের যে
সকল তথাকথিত
মুফতীরা ইনজেকশন
নেয়ার পক্ষে
বলছে- তাদের
ফতওয়া সম্পূর্ণরূপে
অশুদ্ধ ও
কুরআন-সুন্নাহ্র খিলাফ
হওয়ায় গ্রহণযোগ্য
নয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
তারা তাদের
বক্তব্যের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ, হাদীছ
শরীফ, ইজমা
ও ক্বিয়াস
থেকে একটি
দলীলও পেশ
করতে পারবে
না।
তারা তাদের
বক্তব্যের স্বপক্ষে যে সকল দেওবন্দী
কিতাবের নাম
উল্লেখ করছে
যেমন ইমদাদুল
ফতওয়া, আপকে
মাসায়িল, আহসানুল
ফতওয়া, ফতওয়ায়ে
রহিমিয়া, ফতওয়ায়ে
মাহমুদিয়া এসকল কিতাবগুলো দেওবন্দীদের নিজস্ব
লেখা যা
সকলের নিকট
গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া তাদের
উক্ত কিতাবের
বক্তব্য সকলের
নিকট অনুসরণীয়,
গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বখ্যাত ফিক্বাহের কিতাব
হিদায়া, বাহরুর
রায়িক্ব, ফতওয়ায়ে
আলমগীরী, ফতওয়ায়ে
শামী, ফতহুল
ক্বাদীর ইত্যাদি
কিতাবের বক্তব্যের
বিপরীত হওয়ায়
তা সম্পূর্ণরূপে
পরিত্যাজ্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ
শরীফ-এর
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
মুদ্দা জিল্লুহুল
আলী বলেন,
রোজা অবস্থায়
ইনজেকশন, ইনহেলার,
ইনসুলিন নেয়া
হারাম ও
রোজা ভঙ্গের
কারণ এবং
এর সংশ্লিষ্ট
বিষয় সম্পর্কে
মাসিক আল
বাইয়্যিনাত-এর ২১ ও ২২তম
সংখ্যায় আশরাফ
আলী থানভীর
ইমদাদুল ফতওয়ায়
প্রদত্ত ইনজেকশন
সম্পর্কিত ফতওয়াটি খণ্ডন করতঃ বিস্তারিত
দলীল-আদিল্লাহ
উল্লেখ করা
হয়েছে।
যা হক্ব
তালাশীদের জন্য যথেষ্ট।