নোটিশ

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১

।।“যারা তথাকথিত ‘বাবা দিবস’ পালন করবে, বাবা দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে তারা খ্রিস্টানী তথা আমেরিকান কালচারে নিজেদের প্রবাহিত করবে। যা কুরআন-সুন্নাহ মুতাবিক কুফরী।।


যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ্‌‌, মুহইস্সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “যারা তথাকথিতবাবা দিবস পালন করবে, বাবা দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে তারা খ্রিস্টানী তথা আমেরিকান কালচারে নিজেদের প্রবাহিত করবে যা কুরআন-সুন্নাহ মুতাবিক কুফরী আবহমানকালের পিতৃভক্তির ইসলামী ঐতিহ্য ভেঙ্গে দিনসর্বস্ব এবং লৌকিকতা আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর বাবা দিবস পালনের মাধ্যমে মুসলিম পারিবারিক বন্ধন টুটে দিয়ে ইহুদী-খ্রিস্টানরা ওদের মত বল্গাহারা জীবনে মুসলমানদের অভ্যস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে

তথাকথিতবাবা দিবস পালনের প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ- তিনি এসব কথা বলেন


মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বাবা দিবস পালন মূলতঃ পাশ্চাত্য হতে আমদানিকৃত অন্যান্য ফ্যাশনের মতই একটি ফ্যাশন থার্টি ফার্স্ট নাইট, ভ্যালেন্টাইন ডে মত এটাও একটি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি মুসলিম দেশসমূহ কোন মতেই সংস্কৃতি লালন পালনের প্রেক্ষাপট নয়

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তথাকথিতবাবা দিবসের প্রচারণা মূলতঃ এটা প্রমাণ করে যে, আসলে বাবা দিবস পালনকারীরা পিতারভক্তি ভালবাসার চেতনায় উজ্জীবিত নয় তারা বাবার ভালবাসার বন্ধনহীনতায় ভুগছে অশান্তিতে ভুগছে যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে তার থেকে উত্তরণ লাভের জন্য তারা তথাকথিত বাবা দিবসে পিতৃভক্তির চেতনায় উজ্জীবিত হবে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, অথচ ইসলাম প্রতিটি দিনে প্রতিটি মুহূর্তেই বাবার প্রতি অগাধ ভালবাসার প্রেরণা শক্তি নির্দেশ দেয়

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইদানিংকালে এদেশেও পশ্চিমা সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে বিস্তারের কারণে পশ্চিমা সামাজিক সাংস্কৃতিক সমস্যা সঙ্কটও এদেশে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে এবং সে সমস্যা সমাধানে পশ্চিমা ধাঁচের অনুকরণেই প্রয়াস চলছে এতদ্বপ্রেক্ষিতে এদেশে তথাকথিত বাবা দিবসের প্রচারণার বিস্তার ঘটছে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পশ্চিমারা তথা ইহুদী-খ্রিস্টানরা মূলতঃ সব সময়ই মুসলমানদের ক্ষেত্রে সাপ হয়ে কামড়ানো আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ার ভূমিকা পালন করছে তারাই এদেশে মাদকের বিস্তার ঘটাচ্ছে এদেশের যুব সমাজকে মাদকাসক্ত করছে আবার তারাই মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র খুলছে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পশ্চিমারাই এদেশের সমাজ জীবনে পারিবারিক বন্ধন ধ্বংসের কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে আবার পশ্চিমারাই ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবসের চেতনার দাবি করছে শুধু তাই নয়, এর পিছনে তাদের আরো অনেক ইসলাম বিরোধী স্বার্থের বাস্তবায়ন তারা ঘটাচ্ছে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তথাকথিতবাবা দিবসের কার্যাদি আদৌ ইসলামিক নয় তারপরেও হুজুগে মাতা বাঙ্গালি হুজুগে মেতে নিজেদের ঈমান পরিচয়ের বিরুদ্ধে কাজ করছে

মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তথাকথিত বাবা দিবসের নামে মূলতঃ চলে পাশ্চাত্য গাইরুল্লাহমুখী আচার-আচরণ যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা থাকে নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয় যা কুরআন-সুন্নাহ মুতাবিক শক্ত কবীরা গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে

বাবা দিবস উপলক্ষে মুজাদ্দিদে যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বয়ান মুবারকের সংক্ষিপ্ত ভাষ্য:
১৯০৯ সালে সনোরা ডড মা দিবসের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শোনেন বাড়িতে ফিরে আসার পরপরই তার খেয়াল হলো তার বাবার কথা; মা বিহীন যে বাবা ছয় ভাইবোনকে যত্নে লালন করেছেন, করেছেন প্রতিষ্ঠিত তার বাবা ছিলেন আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের এক লড়াকু সৈনিক উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট তার স্ত্রী আমেরিকার মুক্তির জন্য লড়াই করে মৃত্যু বরণ করেছিল, এরপর জ্যাকসন আবারও নতুনভাবে জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন ছয়টি বাচ্চাকে নিয়ে পূর্ব-ওয়াশিংটনে গ্রাম্য পরিবেশে তিনি ছয় সন্তান লালন পালনের ব্রত গ্রহণ করেন ডড সিদ্ধান্ত নিলেন, তার বাবাকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করবেন আর সেই চিন্তা থেকেই বাবা দিবসের সূত্রপাত সেবার একান্ত ব্যক্তিগতভাবে বাবা দিবস পালন করেন ডড কিন্তু পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন তিনি ওয়াশিংটনে ১৯১০ সালের জুন মাসে পালিত হয় প্রথম বাবা দিবস দিনটিকে সমর্থন জানায় রাজ্যের গভর্নর এবং শহরের মেয়র

সনোরা ডডের চেষ্টায় ১৯১০ সালের ১৯ শে জুন স্পোকেন (আমেরিকার একটি স্থান) সর্বপ্রথমবাবা দিবস উদযাপিত হয় স্পোকেন মিনিস্টেরিয়াল অ্যাসোসিয়েশন এবং স্থানীয় খ্রিস্টান যুব সংঘ (ওয়াই, এম, সি, ) তাতে সমর্থন যোগায় পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য দেশেওবাবা দিবস পালিত হয়ে থাকে কালক্রমে বাবা দিবস:

১৯১০ সালের ১৯ জুন: শুরু হলো বিশ্ব বাবা দিবস ১৯২৪ সালে প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিজ জনসমাবেশে জাতীয় বাবা দিবসের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানায় ১৯২৬ সালে জাতীয় বাবা দিবস কমিটির সদস্যরা প্রথমবারের মত নিউইয়র্ক সিটিতে সমবেত হয় ১৯৫৬ সালে বাবা দিবস কংগ্রেসের প্রস্তাবনায় পাশ হয় ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডসন জনসন বাবা দিবসকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ড রিচার্ড নিঙন একটি আইনে স্বাক্ষর করেন যেখানে বলা হয়, বাবা দিবস একটি সরকারি ছুটির দিন যা জুন মাসের তৃতীয় রবিবারে পালিত হবে ১৯৯৯ সালে বাবা দিবস পঞ্চম জনপ্রিয় কার্ড আদান-প্রদান দিবস হিসেবে স্থান করে নেয় প্রায় ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কার্ড এই দিন আদান-প্রদান হয়ে থাকে

অতএব, দেখা যায় যে, এই মা দিবস, বাবা দিবস পালন করতে গেলে ইহুদী খ্রিস্টানদেরই পায়রবী করতে হয় তাদেরই সংস্কৃতির মুখাপেক্ষী হতে হয় জীবিত মাকে লাল ফুল দেয়া আর মৃত মায়ের সমাধিতে সাদা ফুল ছিটিয়ে দেয়া শুধুমাত্র এই সংস্কৃতিই নয়, পোট্রেট অব দ্যা মাদার অ্যান্ড সিস্টার, ‘দ্যা ম্যাডোনা উইথ লং নেক,’ ইত্যাদি চিত্রশিল্পের জয়-গান তথা ছবিসহ হাজারো হারাম কাজের দিকে ঝুঁকে যেতে হয়

সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, আসলে এটি শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা ছাড়া আর কিছুই নয় কারণ এতে ওহীর মূল্যবোধকে অবমাননা করা হয় ইসলাম যে পরিপূর্ণ তথা কুরআন-সুন্নাহর বাণী যে অনেক বেশি জীবন্ত ফলপ্রদ তা অস্বীকার করা হয় অথচ মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত বা পিতার সন্তুষ্টিতে খোদার সন্তুষ্টি

অথবা কুরআন শরীফ- বর্ণিত তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করোনা এবং পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর তাদের মধ্যে একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকেউহ্ শব্দটিও বলোনা এবং তাদেরকে ধমক দিওনা এবং বল তাদেরকে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা তাদের সামনে ভালবাসার সাথে; দয়ার হাত বিছিয়ে দাও এবং বল; হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর যেমন তারা আমাকে শৈশব কালে লালন-পালন করেছেন (সূরা বণী ইসরাঈল/২৩-২৪)

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি তার মাতা-তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে রেহেম শরীফ- ধারণ করেছে তার দুধ ছাড়ানো দুবছরে হয় নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি তোমার পিতা- মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও (সূরা লোকমান/১৪)

এই আয়াত শরীফদ্বয় মুসলিম সন্তানের হৃদয়ে বাবা-মার প্রতি যে অভূতপূর্ব ভালবাসা, মুহব্বত, খিদমত আদব-লেহাজের অনুভূতি তৈরি করে; ক্বিয়ামত পর্যন্ত অপর কোন বাণী, চেতনা বা মূল্যবোধ তার ধার কাছের অনুভূতিও তৈরি করতে পারবে না

কারণ, যে ওহী ওহীর তাছির বেমেছাল হৃদয়গ্রাহী যে কারণে এখনও বিশ্বের মুসলমানগণ বাবা-মা কেন্দ্রিক পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ আর বন্ধনই পশ্চিমা সভ্যতার বল্গাহীন জীবন থেকে মুসলমানদের রক্ষা করছে

কাজেই পশ্চিমা তথা ইহুদী-খ্রিস্টানদের নজর এই রক্ষা কবচ তথা মুসলমানদের পারিবারিক বন্ধন মূল্যবোধ বিনষ্ট করণের দিকে সেক্ষেত্রে বাবা-মার প্রতি ইসলামী চেতনা অবলুপ্ত করে বছরে একদিন একটি কার্ড আর কিছু ফল পাঠিয়ে বাবা-মা দিবস সংস্কৃতি প্রচলনের মাধ্যমেই ওরা অনেকাংশে সফল হবে বলে মনে করছে কাজেই সচেতন মুসলমানকে এখনই বিষয়ে সঠিক ভূমিকা নিতে হবে অর্থাৎ সর্ব প্রকার বেদ্বীনি প্রথা বিধর্মীদের আচার-আচরণ থেকে বেঁচে ইসলাম-এর উপর ইস্তিকামত থাকতে হবে মহান আল্লাহ্পাক রহমত গায়েবী মদদের মালিক