“রমাদ্বান শরীফ অশেষ রহমত, বরকত ও ছাক্বীনাপূর্ণ মাস। এ মাসের হক্ব আদায় করা প্রত্যেক
উম্মতের দায়িত্ব-কর্তব্য।”
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল
ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী রাজারবাগ শরীফে রমাদ্বান শরীফের ফযীলত সম্পর্কিত এক ক্বওল
শরীফে কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব, মালিক, আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাসের
তুলনায় রমাদ্বান মাস তদ্রুপ মর্যাদাবান। যেসব উছীলাকে কেন্দ্র করে আল্লাহ পাক
বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে
জান্নাতে দাখিল করেন- রমাদ্বান মাস তথা এ মাসের ইবাদত-বন্দেগী সেসবের মধ্যে এক
অন্যতম উছীলা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এ মাসের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাযাতের। রমাদ্বান
মাসের বুযূর্গী সম্পর্কে হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে, “ যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর মাস রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করলো
আল্লাহ পাক তাকে জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।” (সুবহানাল্লাহ)
মাহে রমাদ্বান শরীফে রোযা
রাখার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “হযরত আব্দুল্লাহ বিন
মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমাদ্বান
শরীফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোযা রাখলো সে তার গুনাহ থেকে ঐ দিনের ন্যায় নিষ্পাপ
হয়ে বের হবে যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতকে (রোযা উপলক্ষ্যে) এমন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দান
করা হয়েছে যা পূর্ববর্তী উম্মতকে দান করা হয়নি। (১) রোযাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহ
পাক-এর নিকট মেশকের সুগন্ধি অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধময়, (২) রোযাদার যতক্ষণ রোযা থাকেন ততক্ষণ তাদের জন্য পানির
মাছসহ তামাম প্রাণী ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে, (৩) রোযাদারের সম্মানার্থে আল্লাহ পাক তার জান্নাতকে
প্রতিদিন সাজিয়ে থাকেন, (৪) প্রতিদিন শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয়, (৫) প্রতি রোযার শেষ
রাত্রিতে রোযাদারকে ক্ষমা করা হয়।”
পবিত্র মাহে রমাদ্বান
শরীফের খুছুছিয়ত সম্পর্কে হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি পেশ করে তিনি বলেন, “যখন রমাদ্বান মাসের প্রথম
রাত্রি উপস্থিত হয় তখন জান্নাতের সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয় এবং পুরো মাস ব্যাপী তা
আর বন্ধ করা হয় না। আল্লাহ পাক-এর তরফ হতে আদিষ্ট হয়ে একজন ঘোষণাকারী এই বলে ঘোষণা
করেন যে, হে নেক্কার!
অগ্রসহ হও; হে বদকার! পিছে হঠো।” (মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি পেশ করে আরো বলেন, যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহ
পাক-এর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করবে সে অন্য মাসে একটি ফরয কাজ
সম্পন্ন করার ফযলীত লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয কাজ সম্পন্ন করবে সে
অন্য মাসে সত্তরটি ফরয কাজ সম্পন্ন করার ফযীলত লাভ করবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্য এমন একটি গুণ
যার প্রতিদান হলো “জান্নাত”। এটা পারস্পরিক সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস যাতে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা
হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, এর বরকতে তার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং তাকে
জাহান্নাম থেকে নাজাত দেয়া হবে এতদ্ব্যতীত সে তার সমান ছওয়াব লাভ করবে, অথচ রোযাদার ব্যক্তির
ছওয়াবে বিন্দুমাত্রও ঘাটতি হবে না।
এমনকি যে ব্যক্তি কাউকে
এক চুকুম দুধ বা এক ঢোক পানি বা একটি খেজুর দ্বারা ইফতার করাবে, তাকেও আল্লাহ পাক সেই ছওয়াব
দান করবেন। আর যে ব্যক্তি রোযাদারকে তৃপ্ত করে খাওয়াবে আল্লাহ পাক আমার হাউযে
কাওছার থেকে তাকে এমন পানীয় পান করাবেন, এরপর জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সে কখনো পিপাসার্ত হবে
না। যে ব্যক্তি এ মাসে আপন গোলাম ও কর্মচারীর (দায়িত্বের) বোঝা হালকা করে দিবে, আল্লাহ পাক তাকে
জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দিবেন।” (সুবহানাল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফে আছে- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাছের সাথে রমাদ্বান শরীফের রোযা রাখবে তার পূর্বের
গুনাহখাতাসমূহ ক্ষমা করা হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাছের সাথে রমাদ্বান শরীফের
রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তারও পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমান ও
ইখলাছের সাথে ক্বদরের রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তারও পূর্বকৃত গুনাহসমূহ ক্ষমা করা
হবে।” (বুখারী, মুসলিম)
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী দোয়া কামনা করে বলেন, আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে
মাহে রমাদ্বান শরীফের যথাযথ হক্ব আদায় করতঃ তার বারাকাত, ফুয়ুজাত নিয়ামত, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পরিপূর্ণ হিস্সা দান করুন। (আমীন)
-------------------------------------------------
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস রমাদ্বান শরীফকে
সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে
সম্মানিত করবেন।’
যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো
রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের
কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!
রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে
শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে
একটি নফল আমল করলো, সে যেন অন্য সময়ের একটি ফরয আদায় করলো, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয
আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয আদায় করলো। সুবহানাল্লাহ!
এ মাসের প্রথম দশ দিন
রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন
মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাজাতের।
প্রত্যেকের
দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, রমাদ্বান শরীফ-এর পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করতঃ
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ
রেযামন্দি হাছিল করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল
ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রমাদ্বান মাস রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসের অনেক মর্যাদা ও সম্মান
রয়েছে। এ মাস মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পবিত্র রমাদ্বান মাসের
প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাজাতের।” সুবহানাল্লাহ!
রমাদ্বান মাসের বুযূর্গী
ও সম্মান সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত হয়েছে, “রমাদ্বান মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ
পাক উনার মাস রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত দিয়ে
এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেন, যখন রমাদ্বান মাস
আসে তখন আসমানের, রহমতের ও জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে
দেয়া হয়। আর ইবলিস শয়তানকে শিকল দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা হয়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিতাবে উল্লেখ আছে, রজব মাস মহান আল্লাহ পাক উনার দরজায় পৌঁছার মাস, শা’বান মাস মহান আল্লাহ পাক
উনার নৈকট্য লাভ করার মাস, আর রমাদ্বান শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ করার
মাস। সুবহানাল্লাহ! আরো বর্ণিত রয়েছে, ‘রজব’ বীজ বপনের মাস, ‘শা’বান’ বীজে পানি দেয়ার মাস, ‘রমাদ্বান শরীফ’ ফসল কাটার মাস। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রমাদ্বান শরীফ-এর হক্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী
হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শা’বান মাসের শেষ দিন আমাদের
নিকট খুতবা দিতেন বা ওয়াজ করতেন। (উক্ত খুতবায়) তিনি বলেন,
“হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের নিকট এক মহান মাস
(রমাদ্বান মাস) উপস্থিত। এ মাসে এমন একটি রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি রমাদ্বান
মাসের দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও রমাদ্বান মাসের রাত্রি বেলায় কিয়ামুল লাইল
অর্থাৎ তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করেছেন। যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে একটি নফল আমল
করলো, সে যেন অন্য
সময়ের একটি ফরয আদায় করলো, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করলো,
সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয আদায় করলো।
রমাদ্বান মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবরের বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো
রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের
কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের
প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা
অথবা একটি খেজুর দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর
যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার হাউজে কাওছার হতে পানি পান
করাবেন, যার কারণে
জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না।’ ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন “রহমত” দ্বিতীয় দশদিন “মাগফিরাত” আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে নাজাত পাওয়ার”। আর যে ব্যক্তি রমাদ্বান
মাসে তার কর্মচারীর কাজ কমায়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে
নাজাত দিবেন।” (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা
সম্মানিত মাস। এ মাসের প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাজাতের।
প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, রমাদ্বান শরীফ-এর পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করতঃ
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ
রেযামন্দি হাছিল করা।