নোটিশ

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

|| সউদী আরবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ সঠিক তারিখে শুরু না হওয়াতে ফরয রোযা ত্বরক হওয়াসহ লাইলাতুল ক্বদর এবং দোয়া কবুলের বিশেষ রাত ঈদের রাতের নিয়ামত থেকে মানুষ বঞ্ছিত হতে যাচ্ছে ||


নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কোনো অন্যায় কাজ দেখলে হাতে বাধা দাও; সম্ভব না হলে মুখে বাধা দাও; তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তরে ঘৃণা করে দূরে সরে থাকো। তবে এটা হচ্ছে দূর্বল ঈমানের পরিচয়।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘এরপর ঈমানের কোন স্তর নেই। অর্থাৎ যারা এই তিন স্তরের বাহিরে থাকবে তারা মুসলমান হিসেবে গণ্য হবেনা
এবছর অর্থাৎ ১৪৩৩ হিজরী সনের রমাদ্বান শরীফ মাসও সউদী ওহাবী সরকার চাঁদ না দেখে মনগড়াভাবে একদিন আগে শুরু করেছে।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সউদী আরবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ সঠিক তারিখে শুরু না হওয়াতে ফরয রোযা ত্বরক হওয়াসহ লাইলাতুল ক্বদর এবং দোয়া কবুলের বিশেষ রাত ঈদের রাতের নিয়ামত থেকে মানুষ বঞ্ছিত হতে যাচ্ছে। দুই পবিত্র মসজিদে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের মুসলমানসহ সউদী আরবের এবং বিশ্বের সকল মুসলমানগণের জন্য এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
সউদী আরবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ সঠিক তারিখে শুরু না হওয়াতে বিশ্বের সকল মুসলমানগণকে নছীহতস্বরূপ তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সউদী সরকারের নির্দেশ মুতাবেক যেদিন সউদী আরবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ শুরু করেছে তার পূর্বের দিন সউদী আরবে চাঁদ দেখা যায়নি এবং অমাবস্যার কারণে চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিলো না। সউদী আরবে সউদী সরকারের নির্দেশে ২০শে জুলাই ২০১২ ঈসায়ী, শুক্রবার থেকে রমাদ্বান শরীফ শুরু করেছে। অথচ ১৯শে জুলাই ২০১২ ঈসায়ী, বৃহস্পতিবার ছিলো অমাবস্যার দিন। পূর্বে সউদী সরকার পবিত্র মাসগুলোতে জনসাধারণকে চাঁদ তালাশের জন্য সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচার করলেও বর্তমানে কিন্তু তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

অর্থাৎ চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে হাদীছ শরীফ-এর নির্দেশ উপেক্ষা করে তাদের মনগড়া নিয়মে মাস শুরু করছে। উল্লেখ্য, ইসলামী শরীয়তে আরবী মাস শুরুর ক্ষেত্রে প্রতি মাসে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া এবং চাঁদ দেখে অথবা দেখা না গেলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ করে সঠিক তারিখে মাস শুরু করা ফরয। বিপরীতে অমাবস্যা অনুযায়ী মাস শুরু করা ইহুদীদের রীতি। তাহলে আজকের সউদী আরবের নামধারী মুসলিম ওহাবী শাসকগোষ্ঠী আসলে কোন ধর্মের অনুসরণ করছে তা ভেবে দেখা প্রয়োজন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রমাদ্বান শরীফ-এর মাস সঠিক তারিখে শুরু না হওয়াতে ফরয রোযা তরক হওয়ার পাশাপাশি মুসলমানগণ লাইলাতুল ক্বদরের নিয়ামত এবং পহেলা শাওয়ালের দোয়া কবুলের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবে। নাউযুবিল্লাহ! কেননা প্রতি বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ না করে মানুষ জোড় রাতে তালাশ করবে আর দোয়া কবুলের বিশেষ রাত ঈদের রাত (পহেলা শাওয়ালের রাত) সঠিক তারিখে পালিত হবে না। ফলে মানুষরা নিয়ামতও পাবে না। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আশ্চর্য্যরে বিষয়! সউদী ওহাবী সরকারের এহেন শরীয়ত বিরোধী আমলের বিষয়ে মুসলমানগণের মধ্যে কোন প্রকার চিন্তা ফিকির নেই। তবে বিশ্বের সকল মুসলমানগণের জন্য উচিত অর্থাৎ ওয়াজিবে ক্বিফায়া হলো- চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু হওয়ার বিষয়ে কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এর সঠিক ইলম হাছিল করা এবং তার আলোকে সউদী ওহাবী সরকারের মনগড়া নিয়মে মাস শুরুর বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ করা।