নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের জন্য আমার সুন্নত ও খুলাফায়ে রাশিদীন বা হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয়।’
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম
উনারাসহ সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং পরবর্তীতে
চার মাযহাবের ইমামগণ উনারাসহ অনুসরণীয় সকল ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম
উনারা বিশ রাকায়াত তারাবীহ নামায পড়েছেন।
কাজেই তারাবীহ নামায ২০ রাকায়াতই পড়তে হবে। এক রাকায়াতও যদি কেউ কম পড়ে তাহলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।
যারা ৮ রাকায়াত বা ১২ রাকায়াত তারাবীহ-এর কথা বলে তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং
তারা বাতিল ও গুমরাহ ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।
যামানার লক্ষ্যস্থল
ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ বান্দা-বান্দি ও উম্মতের জন্য
রোযাকে ফরয করেছেন এবং তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ
শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা
করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্রাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য রমাদ্বান শরীফ-এর রোযাকে
ফরয করেছেন এবং ক্বিয়ামুল লাইল বা তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করেছেন।” (বায়হাক্বী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের উপর নামায ফরয তাদের সকলের জন্যই ব্যক্তিগতভাবে
তারাবীহ নামায পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। আর জামায়াতে পড়া হচ্ছে সুন্নতে
মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। আর তারাবীহ নামাযে কুরআন শরীফ খতম করা বা খতমে তারাবীহ পড়া
সুন্নতে কিফায়া। যেহেতু সূরা তারাবীহ পড়াও খাছ সুন্নত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তারাবীহ নামায বিশ রাকায়াতই পড়তে হবে। কারণ স্বয়ং নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন
আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ও
পরবর্তীতে চার মাযহাবের ইমামগণ উনারাসহ সকল ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম
উনারা বিশ রাকায়াত তারাবীহ আদায় করেছেন। যেমন, এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
রমাদ্বান শরীফ-এ বিশ রাকায়াত তারাবীহ পড়েছেন। আর বিতর নামায আলাদা পড়েছেন।
(মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বা)
“আইনী শরাহ বুখারী শরীফ’-এ উল্লেখ আছে, “হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব
আলাইহিস সালাম, হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম ও হযরত আলী কাররামুল্লাহ ওয়াজহাহু
আলাইহিস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে সকলেই ২০ রাকায়াত তারাবীহ নামায আদায়
করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, চার মাযহাবের ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের ক্বওল এবং
আমল উভয়ই বিশ রাকায়াত তারাবীহর উপর। অর্থাৎ বিশ রাকায়াত তারাবীহর উপর সকল উম্মতের
ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমন, এ প্রসঙ্গে ‘ফতহুল মুলহিম শরহে মুসলিম শরীফ’-এ উল্লেখ আছে, “জমহুর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম
উনারা, তাবিয়ীন
রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা তারাবীহ নামায বিশ রাকায়াত হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা বিশ তিনি বলেন, ওহাবী, খারিজী, সালাফী, লা-মাযহাবীরা বলে থাকে- তারাবীহ-এর নামায আট রাকায়াত। তারা
দলীল হিসেবে বুখারী শরীফে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত
হাদীছ শরীফকে উল্লেখ করে থাকে। সেটা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রমাদ্বান
শরীফ-এ এবং গাইরে রমাদ্বান শরীফ-এ এগার রাকায়াত নামায পড়তেন, এর বেশি পড়তেন না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এরা নিরেট অজ্ঞ এবং মূর্খ হওয়ার কারণে এবং এদের কুরআন শরীফ
এবং হাদীছ শরীফ-এর ইলম না থাকার কারণেই এরা তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামাযকে একাকার
করে দিয়েছে। তাই তারা বলে থাকে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আট রাকায়াত আর তিন রাকায়াত মোট এগার রাকায়াত নামায আদায়
করেন। অর্থাৎ আট রাকায়াত তারাবীহ, তিন রাকায়াত বিতর পড়তেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তারা বুখারী শরীফ থেকে যে হাদীছ শরীফখানা দলীলবিহীন উল্লেখ
করে থাকে তা তারাবীহ নামায সম্পর্কিত নয়। বরং তা তাহাজ্জুদ নামায সম্পর্কিত। কারণ
রমাদ্বান শরীফ-এ তারাবীহ রয়েছে, কিন্তু গাইরে রমাদ্বান শরীফে তো তারাবীহ নামায নেই। তাহলে
তখন ৮ রাকায়াত কিসের নামায পড়তেন? এটা মূলত তারাবীহ নয়; তাহাজ্জুদের নামায।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ওহাবী, খারিজী, সালাফী, লা-মাযহাবীদের ৮ রাকায়াত তারাবীহ-এর ফতওয়া মূলতঃ কুফরী।
কারণ উম্মতের ইজমা হয়েছে, তারাবীহ-এর নামায বিশ রাকায়াত। আর ইজমার বিরুদ্ধে ফতওয়া
দেয়া কুফরী। কাজেই তারাবীহ-এর নামায বিশ রাকায়াতই পড়তে হবে এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াত-এর ফতওয়া। এক রাকায়াতও কম পড়া যাবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মাসিক আল বাইয়্যিনাতের ২৫-২৯তম সংখ্যায় ৩০৪টি অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য
দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী
মাযহাবের মতানুসারে তারাবীহ নামায বিশ রাকায়াত। যা স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আর পরবর্তীতে সকল অনুসরণীয় হযরত ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আমল ও ক্বওল শরীফ উভয়ের দ্বারা প্রমাণিত। অতএব, তারাবীহ-এর নামায বিশ
রাকায়াতই পড়তে হবে। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া। এক রাকায়াতও কম পড়া
যাবে না। বিশ রাকায়াত তারাবীহ নামাযের বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয় তারা গুমরাহ ও
বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।
---------------------------------------------
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, খুলাফায়ে রাশিদীন
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যে ২০ রাকায়াত তারাবীহ পড়েছেন তাও হাদীছ শরীফ-এ
উল্লেখ আছে। যেমন, ‘বায়হাক্বী শরীফ’-এ উল্লেখ আছে, “হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল
খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার খেলাফতকালে ২০ রাকায়াত তারাবীহই আদায়
করেছেন।”
আর ‘মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বা’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “আমিরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল
খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এক ব্যক্তিকে ২০ রাকায়াত তারাবীহ নামায
পড়ার নির্দেশ দেন।”
“আইনী শরাহ বুখারী শরীফ’-এ উল্লেখ আছে, “হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত উছমান যিন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত
আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উনাদের খিলাফতকালে সকলেই ২০ রাকায়াত তারাবীহ
নামায আদায় করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, চার মাযহাবের ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের ক্বওল ও
আমলও ২০ রাকায়াত তারাবীহর উপর। অর্থাৎ ২০ রাকায়াত তারাবীহর উপর সকল উম্মতের ইজমা
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যেমন, এ প্রসঙ্গে ‘ফতহুল মুলহিম শরহে মুসলিম
শরীফ’-এ উল্লেখ আছে, “জমহুর ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা, তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা তারাবীহ নামায ২০
রাকায়াত হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।”
ইমাম বায়হাক্বী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “অতঃপর তারাবীহ নামায ২০ রাকায়াতই নির্ধারিত হয়েছে এবং ‘তাওয়ারাছান’ তথা নিয়মিতভাবে ২০
রাকায়াত আদায় হয়ে আসছে।“
হযরত মুল্লা আলী ক্বারী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “২০ রাকায়াত তারাবীহ নামাযের উপর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
‘মিশকাত শরীফ’-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘দরসে মিশকাত’-এ উল্লেখ আছে, ‘তারাবীহ নামায ২০ রাকায়াত হওয়ার ব্যাপারে হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ এর
বিরোধিতা করেননি। শুধু তাই নয়, ২০ রাকায়াতের উপর সকল উম্মতের ইজমা ও চার ইমাম উনাদের আমল
প্রমাণিত হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওহাবী, খারিজী, সালাফী, লা-মাযহাবীরা বলে থাকে-
তারাবীহ-এর নামায ৮ বা ১২ রাকায়াত। তারা দলীল হিসেবে বুখারী শরীফে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত হাদীছ শরীফকে উল্লেখ করে থাকে। সেটা
হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক
উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রমাদ্বান শরীফ-এ এবং গাইরে
রমাদ্বান শরীফ-এ ১৩ রাকায়াত নামায পড়তেন, এর বেশি পড়তেন না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এরা নিরেট অজ্ঞ এবং মূর্খ
হওয়ার কারণে এদের কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এর ইলম না থাকার কারণে তারাবীহ ও
তাহাজ্জুদ নামাযকে একাকার করে দিয়েছে। তাই তারা বলে থাকে,
আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৮ রাকায়াত, ৩ রাকায়াত আর ২ রাকায়াত, মোট ১৩ রাকায়াত নামায আদায় করেন। অর্থাৎ ৮ রাকায়াত তারাবীহ, ৩ রাকায়াত বিতর এবং ২
রাকায়াত হালকী নফল পড়তেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তারা বুখারী শরীফ থেকে যে হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ করে থাকে
তা তারাবীহ নামায সম্পর্কিত নয়। বরং তা তাহাজ্জুদ নামায সম্পর্কিত। কারণ রমাদ্বান
শরীফ-এ তারাবীহ রয়েছে, কিন্তু গাইরে রমাদ্বান শরীফে তো তারাবীহ নামায নেই। তাহলে
তখন ৮ রাকায়াত কিসের নামায পড়তেন? এটা মূলত তারাবীহ নয়; তাহাজ্জুদের নামায। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওহাবী, খারিজী, সালাফী, লা-মাযহাবীদের ৮ বা ১২ রাকায়াত তারাবীহ-এর ফতওয়া মূলতঃ
কুফরী। কারণ উম্মতের ইজমা হয়েছে, তারাবীহ-এর নামায ২০ রাকায়াত। আর ইজমার বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়া
কুফরী। কাজেই তারাবীহ-এর নামায ২০ রাকায়াতই পড়তে হবে এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াত-এর ফতওয়া। এক রাকায়াতও কম পড়া যাবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদুহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মাসিক আল বাইয়্যিনাতের ২৫-২৯তম সংখ্যায় ৩০৪টি অকাট্য ও
নির্ভরযোগ্য দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী
মাযহাবের মতানুসারে তারাবীহ নামায বিশ রাকায়াত। যেটা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আমল ও ক্বওল শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, তারাবীহ-এর নামায ২০
রাকায়াতই পড়তে হবে। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতওয়া। এক রাকায়াতও কম পড়া
যাবে না। ২০ রাকায়াত তারাবীহ নামাযের বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয় তারা গুমরাহ ও বাতিল
৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।