নোটিশ

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

|| দ্বীন ইসলাম তথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর পরিপূর্ণ বিধান আসার পর অন্য ধর্ম ও মতবাদের নিয়মনীতি গ্রহণ করা জায়িয নেই ||


কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, তিনি মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন অতীতের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত সমস্ত দ্বীন এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মানবরচিত সমস্ত মতবাদকে রহিত করে দিয়ে। এক্ষেত্রে সাক্ষী হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনিই যথেষ্ট। সুবহানাল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম তথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর পরিপূর্ণ বিধান আসার পর অন্য ধর্ম ও মতবাদের নিয়মনীতি গ্রহণ করা জায়িয নেই। কেউ যদি তা গ্রহণ করে, সে ঈমান ও ইসলাম থেকে খারিজ হবে এবং কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ উনাদের প্রতি নাযিলকৃত তিনখানা কিতাব-তাওরাত শরীফ, যাবূর শরীফ, ইন্জীল শরীফ এবং একশখানা ছহীফা শরীফ-এর হুকুম এবং পূর্ববর্তী, মধ্যবর্তী বা বর্তমান ও পরবর্তী মানবরচিত সকল মতবাদ বাতিল ঘোষণা করে উনার যিনি হাবীব, যিনি কুল-কায়িনাতের নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েতকারী, সাক্ষ্য দানকারী, সতর্ককারী, সুসংবাদ দানকারী হিসেবে দীন ইসলাম দিয়ে, কুরআন শরীফ দিয়ে, হাদীছ শরীফ দিয়ে যমীনে পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের পর উনার প্রতি নাযিলকৃত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর হুকুম তথা আদেশ-নিষেধের বিপরীত অন্য কোন দীন-ধর্ম ও মতবাদের অনুসরণ অনুকরণ করা যাবে না।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীয়ত তথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর পরিপূর্ণ বিধান আসার পর আর কোন দ্বীন-ধর্ম ও মতবাদের নিয়ম-নীতি, আইন-কানুন বান্দা-বান্দি ও উম্মতের জন্য গ্রহণ করাটা সম্পূর্ণরূপে কুফরী।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অথচ কি সাধারণ মুসলমান, কি মুসলমান রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমারাহ ও সরকার আর কি মুসলমান মাওলানা-মুফতী, মুহাদ্দিছ-মুফাসসির, ইমাম-খতীব, ছূফী-দরবেশ, পীর-মাশায়িখ, আমীর-মুরুব্বী সকলেই একসাথে মিলে ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত গণতন্ত্র করছে। নাঊযুবিল্লাহ। কট্টর হিন্দু মহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রবর্তিত হরতাল করছে। নাঊযুবিল্লাহ। কট্টর নাস্তিক মাওসেতুংয়ের প্রবর্তিত লংমার্চ করছে। নাঊযুবিল্লাহ। এমনিভাবে তারা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফবিরোধী বেদ্বীন-বিজাতীয়দের কর্মপদ্ধতি গান-বাজনা, ছবি, টিভি-সিনেমা, বেপর্দা-বেহায়াপনা, খেলাধুলা ইত্যাদি হারাম ও কুফরীকে সমর্থন করছে এবং তার মধ্যে গা ভাসিয়ে চলেছে। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এসব মুসলমান নামধারী ব্যক্তিদের কি ফায়ছালা? মূলতঃ তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনিই ফায়ছালা জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি কি করে ঐ সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন যারা ঈমান আনার পর কুফরী করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর উনার নাফরমানী করে এবং তাদের নিকট কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর সুস্পষ্ট বিধান আসার পর তা অমান্য করে। এরা মূলতঃ যালিম। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন না। এ সমস্ত লোকদের শাস্তি হলো, তাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার, ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের এবং সমস্ত মানুষের লানত। অনন্তকাল ধরে সেই লানতের মধ্যে তারা থাকবে। তাদের উপর শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তাদেরকে ফুরসতও দেয়া হবে না। (সূরা আলে ইমরান : ৮৬, ৮৭, ৮৮)