পবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “স্বদেশের মুহব্বত পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ।”
স্বদেশের স্বার্থ
রক্ষা করা, সম্পদ
রক্ষা করা ও জনগণকে রক্ষা করা স্বদেশকে মুহব্বতের নিদর্শন এবং ঈমানের পরিচায়ক।
দেশে এ যাবৎ যতগুলো
কালো চুক্তি হয়েছে তন্মধ্যে বাগেরহাটের ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক
বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট, জঘন্য ও চরম
আত্মঘাতী।
এতে ধ্বংস হবে
বাংলাদেশের জনবসতি, কৃষি
জমি, নদী, পরিবেশ এবং
ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পবিত্র দ্বীন ইসলাম
উনার দৃষ্টিতে ভারত বিধর্মী বা কাফির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পরও তাদের
দেশপ্রেমের কারণে ভারতে এ ক্ষতিকর বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে দেয়নি। তাহলে
বাংলাদেশে সে ক্ষতিকর বিদ্যুৎকেন্দ্র কিভাবে তৈরি হতে পারে? এছাড়াও ভারত মাত্র ১৫
ভাগ বিনিয়োগ করে মালিকানা পাবে ৮৫ ভাগ।
আর স্বদেশের এই
বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনবে বেশি দামে!
অতএব, এ চুক্তি আত্মঘাতী, দেশবিরোধী, আইনবিরোধী, সংবিধানবিরোধী
সর্বোপরি সম্মানিত ঈমান উনার বিরোধী চুক্তি।
কাজেই দেশ ও জনগণের
স্বার্থে সরকারের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- অতিসত্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
বন্ধ করে দেয়া।
যামানার লক্ষ্যস্থল
ওলীআল্লাহ, যামানার
ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল
আইম্মাহ, মুহইস
সুন্নাহ, কুতুবুল
আলম, মুজাদ্দিদে
আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম
রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বাগেরহাটের
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি যে দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধী এবং চরম
আত্মঘাতী সে প্রসঙ্গে আলোচনাকালে এ সমস্ত বিষয়গুলি সরকার ও জনগণকে সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশে এ যাবৎ
যতগুলো কালো চুক্তি হয়েছে তন্মধ্যে এ চুক্তি সর্ব নিকৃষ্ট ও জঘন্য। এটা এদেশের
জনগণকে নিষ্পেষিত করে, এদেশের
সম্পদ ধ্বংস করে দেশ বিক্রির শামিল। সচেতন দেশবাসী এ চুক্তি কিছুতেই মেনে নিতে
পারে না ও বরদাশত করতে পারে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, রামপাল
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি হয় ২০১০ সালের ২৭
ডিসেম্বর, ভারতীয়
কোম্পানি এনটিপিসি’র
সাথে বাংলাদেশের পিডিবি’র
জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ বিনিয়োগে এ চুক্তি হয় ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি। খুব অল্প
সময়ের মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে; যা সম্পূর্ণ
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, ২০১০
সালের ৮ অক্টোবর তারিখে ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় প্রকাশিত NTPCÕs
coal-based project in MP turned down বা ‘মধ্যপ্রদেশে এনটিপিসি’র কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিল’ শীর্ষক খবরে বলা হয়: “জনবসতি সম্পন্ন এলাকায় কৃষিজমির উপর তাপ
বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাই ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রীন প্যানেল
মধ্যপ্রদেশে ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি)-এর ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি
বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি।”
অর্থাৎ কৃষিজমি,
নিকটবর্তী জনবসতি,
পাশ্ববর্তী নগরী,
নদীর পানির স্বল্পতা এবং পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব বিবেচনা করে
ভারত সরকার নিজ দেশের মধ্যপ্রদেশে এনটিপিসি’র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে দেয়। তাহলে সেই
এনটিপিসি’র
সাথে বর্তমান সরকার যৌথ বিনিয়োগে তার অনুরূপ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র
রামপালে কিভাবে নির্মাণ করতে পারে?
যা কখনো নির্মাণ করার কথা ছিলো না। কিন্তু তারপরেও সরকার তা
নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, এনটিপিসি’র একই ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের
প্রস্তাব উড়িষ্যার গাজমারা থেকে নাকচ করে দেয়া হয়,
কারণ পরিবেশ বিভাগ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি, অথচ বাংলাদেশে সেই এনটিপিসি’কে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র
নির্মাণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির
নামকরণ করা হয়েছে- ‘খুলনা
১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এই কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট থাকবে। সরকারি
তথ্যানুযায়ী, ২০১৬
সালের মধ্যে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। গত ২০ ডিসেম্বর
২০১২ ঈসায়ী তারিখে ওরিয়ন গ্রুপের সাথে পিডিবি’র চুক্তির সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, কয়লাভিত্তিক
কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ৫২২ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা এবং খুলনার লবণচোরায় এবং চট্টগ্রামের
আনোয়ারায় ২৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র তিন টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে
পিডিবি। ফলে খুব সহজেই বোঝা যায়, বিদ্যুৎ সঙ্কট নিরসনের নামে আরেকটি বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে
দ্বিগুণ দামে বিদ্যুৎ কেনার আয়োজন করা হচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, যৌথ
প্রকল্প বলে ঊল্লেখ করা হলেও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করেই সিংহভাগ মালিকানা থাকবে
ভারতীয় কোম্পানির। এনটিপিসি ও পিডিবি’র যৌথভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৩
হাজার ২০০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ তিন হাজার ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়
করবে পিডিবি ও ভারতীয় কোম্পানি। অর্থাৎ প্রত্যেকে ১৫% করে বিনিয়োগ করবে। বাকি ৭০
শতাংশ বা ৯ হাজার ২৪০ কোটি টাকা অর্থায়ন হবে ঋণের মাধ্যমে; যা এনটিপিসি বিভিন্ন
ব্যাংক ও ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। আর এ ঋণের অর্থ পরিশোধ করা হবে
বাংলাদেশের সম্পদ থেকেই। তারপরেও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৮৫% মালিকানাই থাকবে এনটিপিসি’র। বাস্তবে এটি মূলত ভারতীয় মালিকানা ও
ব্যবস্থাপনায় একটি ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রই হবে,
যে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার- বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বা
আইপিপি’র
কাছ থেকে যেমন চড়া দামে বিদ্যুৎ কেনে,
সেভাবে কিনবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, রামপালে
জমি অধিগ্রহণ করার পরিমাণ ১৮৩৪ একর। EIA
(সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা-ইআইএ) রিপোর্টে বিদ্যুৎকেন্দ্র
নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় ধান,
মাছ, গৃহপালিত
পশুপাখি ইত্যাদির উৎপাদন ধ্বংস হবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০
কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ মেট্রিক টন ধান,
৫,২১,৮৬৬ মেট্রিক টন মাছ এবং ১,৪০,৪৬১ মেট্রিক টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হতো। আর প্রকল্প এলাকায়
বছরে ১২৮৫ মেট্রিক টন ধান, ৫৬৯৪১
মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হতো। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে এসবের
সবই আমরা হারাবো।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, রামপাল
বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১০০ একরের একটি ছাইয়ের পুকুরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অ্যাশ
পন্ড থেকে ছাই মিশ্রিত পানি মাটির নিচে ও আশেপাশের পানিভূমিতে মিশে মারাত্মক
পরিবেশ দূষণ ঘটাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, এই
বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং তা বাস্তবায়নে প্রতিদিন ১৩
হাজার টন কয়লা পোড়াতে হবে। এ থেকে বছরে ৯৭ লাখ টনেরও বেশি কার্বন নির্গত হবে; যা ৪২ কোটিরও বেশি
গাছ কেটে ফেলার সমপরিমাণ ক্ষতি করবে। সেই সাথে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, বিভিন্ন ক্ষুদ্র
কণিকা, কার্বন
মনোক্সাইড, পারদ, সিসা ইত্যাদি ক্ষতিকর
গ্যাস স্থানীয় অধিবাসী এবং সুন্দরবনের বিপুল ক্ষতি করবে। এ প্রকল্পের জন্য কয়লা
ধোয়ার পর দূষিত বর্জ্য ওই এলাকা ও আশপাশের পানির মারাত্মক দূষণ ঘটাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, সুন্দরবনের
অদূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এক বছরে পশুর নদী শুকিয়ে
যেতে পারে। প্রতিদিন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ঘণ্টায় ২৫ হাজার মিটার
পানির প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষিত পানিতে পশুর নদীর
জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। এই কেন্দ্র থেকে বছরে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিন টন ছাই এবং
৩ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিন টন তরল বর্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে
দাঁড়াবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, কয়লাভিত্তিক
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, বিভিন্ন ক্ষুদ্র
কণিকা, কার্বন
মনো-অক্সাইড, মার্কারি, আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়ামসহ পরিবেশ
ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান নির্গত হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, ৫০০
মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে অন্তত ৩৭ লাখ টন কার্বন
ডাই-অক্সাইড, ১০
হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড, ১০ হাজার ২০০ টন নাইট্রোজেন অক্সাইড, ২২০ টন হাইড্রো
কার্বন, ৭২০
টন কার্বন মনো-অক্সাইড, ১৭০
পাউন্ড পারদ, ২২৫
পাউন্ড আর্সেনিক, ১১৪
পাউন্ড সিসাসহ অন্যান্য বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
বিপুল পরিমাণ ছাই ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ বাতাস,
ভূপৃষ্ঠ ও ভূ-গর্ভস্থ পানি দূষণ করবে। এসব দিক বিবেচনায় রেখে
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উপযুক্ত শোধনাগার না থাকলে তা বৃহত্তর সুন্দরবনের জন্য
কাল হয়ে দাঁড়াবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, প্রাক-নির্মাণ
ও নির্মাণ পর্যায়ের জন্য ১৮৩৪ একর জমি নেয়া হয়েছে,
যার ৯৫ ভাগ কৃষি জমি। দুই ধাপের মাঝে প্রথমে ৪২০ একর জমি মাটি
দিয়ে ভরাট করবে, যার
সময় লাগবে ৪৮ মাস। বাকিটা কার্বন বর্জ্য দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে ভরাট করা হবে। এর ফলে
পশুর নদীর তীরের ম্যানগ্রোভ বন কাটা পড়বে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকার পরে ১৩২০
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড ও ৮৫ টন নাইট্রোজেন
গ্যাস নির্গত হবে। এ গ্যাসের ফলে সুন্দরবনের বাতাস বিষাক্ত হবে এবং তাপমাত্রা বেড়ে
যাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, জ্বালানি
সঙ্কট আমাদের প্রধান সমস্যা একথা ঠিক। বিদ্যুতের জন্য সরকার ও জনগণ উভয়েই বিপদে
আছে। তাই বলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। যেমন- ক্ষুধা লাগলে তো আর বিষ খাওয়া
যায় না।
মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, রামপাল
বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি সংবিধান মুতাবিক হয়নি। কারণ সংবিধানের ১৪৫ (ক) ধারায়
ব্যক্ত করা হয়েছে, ‘বিদেশের
সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে, এবং রাষ্ট্রপতি তাহা
সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’
কিন্তু কার্যত এ প্রক্রিয়ায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি
হয়নি। সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।