সুলতানুল হিন্দ,
গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী রহমতুল্লাহি
আলাইহি আজীবন কুরআন শরীফ, হাদীছ
শরীফ, ইজমা
ও ক্বিয়াস-এর উপর পরিপূর্ণ ইস্তিকামত থাকার কারণেই ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক লাভ করেছেন। আর উনার উছীলায় এক কোটিরও বেশি
বিধর্মী ঈমান লাভ করেছে; যা
মূলতঃ উনার বেমেছাল ঈমানী জযবা ও রূহানী কুওওয়াতেরই প্রতিফলন। মুসলমানদের মাঝে
ঈমানী জযবা ও রূহানী কুওওয়াত পয়দা করতে উনার বিছাল শরীফ-এর দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা
করা ও বরকতময় জীবনী বেশি বেশি আলোচনা করা উচিত পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উনার বরকতময় জীবনী মুবারক সিলেবাসভুক্ত করাও জরুরী।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, মুর্শিদে
আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, “সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ হযরত
খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজীবন কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর
উপর পরিপূর্ণ ইস্তিকামত থাকার কারণেই ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক লাভ করেছেন। আর উনার উছীলায় এক কোটিরও বেশি
বিধর্মী ঈমান লাভ করেছে; যা
মূলতঃ উনার বেমেছাল ঈমানী জযবা ও রূহানী কুওওয়াতেরই প্রতিফলন। মুসলমানদের মাঝে
ঈমানী জযবা ও রূহানী কুওওয়াত পয়দা করতে উনার বিছাল শরীফ-এর দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা
করা ও বরকতময় জীবনী বেশি বেশি আলোচনা করা উচিত। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁর বরকতময় জীবনী মুবারক সিলেবাসভুক্ত করাও জরুরী।”
সুলতানুল হিন্দ,
গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্্তী রহমতুল্লাহি
আলাইহি-এর বিলাদত ও বিছাল শরীফ উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যমীনে নবীগণের পরে যে
সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণকে আল্লাহ পাক তাঁর খাছ বান্দা হিসেবে, লক্ষ্যস্থল হিসেবে
পাঠিয়েছেন উনাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন গরীবে নেওয়াজ,
হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্্তী রহমতুল্লাহি
আলাইহি। যিনি ৫৩৬ হিজরীর ১৪ই রজব বিলাদত শরীফ লাভ করেন এবং ৬৩৩ হিজরীর ৬ই রজব
বিছাল শরীফ লাভ করেন। যাঁদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক যাঁকে
ইচ্ছা তাঁকে মনোনীত করেন, পছন্দ
করে নেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিদায়ের পূর্বে বলেছেন, “আল্লাহ পাক-এর ইসলাম।
অর্থাৎ কালাম শরীফ, হাদীছ
শরীফ, ইজমা
ও ক্বিয়াস ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।”
এ সমস্ত বিষয় মানুষ যাঁদের মাধ্যম দিয়ে হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি
করবে তাঁরাই হচ্ছেন আল্লাহ পাক-এর ওলী,
আউলিয়ায়ে কিরাম। তাঁদের মধ্যে কিছু আবার খাছ রয়েছেন। যাঁদের
শানে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক
এই উম্মতের ইছলাহ্্র জন্য, হিদায়েতের জন্য প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন দ্বীনের
সংস্কারক, তাজদীদকরনেওয়ালা
অর্থাৎ মুজাদ্দিদকে পাঠাবেন। যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন। মানুষকে হিদায়েত করবেন।” ঠিক সেই শ্রেণীর একজন
মুজাদ্দিদ- সুলতানুল হিন্দ, খাজা
গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ
রহমতুল্লাহি আলাইহি। প্রকৃতপক্ষে বান্দাদেরকে আল্লাহ পাক-এর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের
জন্য, নিছবত
হাছিলের জন্য, তায়াল্লুক
সৃষ্টির জন্যই আল্লাহ পাক তাঁকে যমীনে পাঠিয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কায়িনাতকে ইছলাহ্ করার জন্য আল্লাহ পাক তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
পাঠিয়েছেন। তিনি সমস্ত কায়িনাতকে ইছলাহ্্ করেছেন এবং ইছলাহ্ করার যে
তর্জ-তরীক্বা, নিয়ম-কানুন
সেটা বলে গেছেন এবং যমীনে রেখে গেছেন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরে সেই তর্জ-তরীক্বা অনুযায়ী, সেই আদেশ-নির্দেশ
মুতাবিক যাঁরা পরবর্তী উম্মতদেরকে ইছলাহ্ করবেন তাঁরাই হচ্ছেন আউলিয়ায়ে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিম। তাঁদের একজন সুলতানুল হিন্দ,
খাজা গরীবে নেওয়াজ,
হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাবীবুল্লাহ হযরত
খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উছীলায় আল্লাহ পাক এক কোটিরও বেশি লোককে
মুসলমান করেছেন, ঈমান
দিয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তিনি সাতানব্বই বৎসর
যমীনে অবস্থান করেছেন। নব্বই বৎসর বয়স মুবারকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে তাঁর বিশেষ সাক্ষাৎ লাভ হয়। আল্লাহ
পাক-এর হাবীব তাঁকে বলেন, হে
মুঈনুদ্দীন! ‘মুঈনুদ্দীন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে
দ্বীনের সাহায্যকারী। সত্যিই আপনি আমার দ্বীনের সাহায্যকারী। আপনার দ্বারা যমীনে
এক কোটিরও বেশি লোক ঈমান এনেছে এবং প্রায় সমস্ত সুন্নতই আপনার দ্বারা পালিত হচ্ছে।
তবে একটা সুন্নত যে বাকি রয়ে গেলো। আলোচনা শেষ হয়ে গেলো। দ্বীনের খিদমতের আঞ্জাম
দিতে গিয়ে তখনও তাঁর বিয়ে করা হয়নি,
‘বিয়ে করা হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশে সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যে খাজা
গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি পর পর দু’টা বিয়ে করে নেন। এই যে সুন্নতের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ
এটা তাঁর মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ।
কুরআন শরীফ-এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুজাদ্দিদে আ’যম,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ
পাক ইরশাদ করেন, “হে
আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা সত্যিই
আল্লাহ পাককে মুহব্বত করে থাক তাহলে আল্লাহ পাক-এর যিনি হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তাঁকে অনুসরণ কর। তাঁকে অনুসরণ করলেই আল্লাহ পাক মুহব্বত করবেন, গুনাহখতা মাফ করবেন, দয়ালু হবেন।”
এই আয়াত শরীফ-এর হাক্বীক্বী মিছদাক হলেন সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ
রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ইন্তিকাল করার পর তাঁর কপাল মুবারকে লিখা ভেসে উঠেছিলো, ‘হাজা হাবীবুল্লাহ
মাতা ফি হুব্বিল্লাহ।’ অর্থাৎ
তিনি আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আল্লাহ
পাক-এর মুহব্বতে ইন্তিকাল করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাক্বীক্বী ‘আল্লাহ পাক-এর হাবীব’ হচ্ছেন আখিরী নবী
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেটা হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ
পাক বলেন, “আমি
আপনাকে খলীল এবং হাবীব হিসেবে গ্রহণ করেছি।”
সেই ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্ববটা দেয়া হলো
সুলতানুল হিন্দ, খাজা
গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহিকে। এটাতো সহজ কথা নয়। আল্লাহ পাক লক্বব দিলেন।
এতেই বুঝা যায় তাঁর মাক্বাম বা মর্যাদা কতটুকু।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম
রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ
রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর তথা আল্লাহওয়ালাগণের স্মরণে আয়োজিত ঈসালে ছওয়াবের মাহফিলের
ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা অসীম।
মূলতঃ রহমত, বরকত, ছাকিনার কারণ। যে
প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-এর ওলীগণের আলোচনা রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিলের কারণ।
অর্থাৎ আল্লাহওয়ালাগণের আলোচনা যেখানে করা হয় সেখানে আল্লাহ পাক-এর রহমত বর্ষিত
হয়ে থাকে।