নোটিশ

সোমবার, ৬ মে, ২০১৩

পবিত্র ২০ জুমাদাল উখরা শরীফ- হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার মুবারক দিন


নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণের সাইয়্যিদা।
তিনি পবিত্র জুমাদাল উখরা মাস উনার ২০ তারিখ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন।
তাই সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
পাশাপাশি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ২০শে জুমাদাল উখরায় সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাদের সাইয়্যিদা, তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিতা মাতা; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত স্নেহময়ী কন্যা এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিতা চার কন্যা উনাদের একজন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিক নুবুওয়াত প্রকাশের ৩ বৎসর পূর্বে ২০ জুমাদাল উখরা, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক ছিল ৩৭ বৎসর। যেমনিভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো পুত্র সন্তানই জীবিত থাকেননি, তদ্রূপ উনার অপরাপর কন্যা উনাদের থেকে উনার বংশীয় ধারা জারি না হয়ে কেবল সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বংশ মুবারক উনার ধারা চালু হয়েছে ও চালু রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাত বছর বয়স মুবারক হতে তিনি গৃহের কাজ-কর্ম এবং পিতার খিদমত করতে লাগলেন এবং হযরত ফাতিমা বিনতে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার কাজেও সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। তিনি উনার সম্মানিতা মাতা উনার স্থলাভিষিক্তও ছিলেন। তাই তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করতেন এবং বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন তায়েফ গমন করেন, তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ-এ ছিলেন। তায়েফ হতে তিনি অবসন্ন এবং দুশমনদের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় ফিরে আসেন। সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তখনো উনার সেবা-শ্মশ্রুষা করেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বদর জিহাদের পর দ্বিতীয় হিজরী যিলহজ্জ মাসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক উনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে এ অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিতা কন্যা উনার মোহর ধার্য করেন ৫ শত দিরহাম। এ পরিমাণ মোহর বরকতময় বলে গণ্য। যা মহরে ফাতিমী বা মহরে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম হিসেবে মশহুর।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযুর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয, সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনায় নেই। তাহলে মুসলমানগণ কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মূল ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার দিন হচ্ছে ২০শে জুমাদাল উখরা। (অর্থাৎ এ বছরের জন্য ২০শে জুমাদাল উখরা হচ্ছে- ৩ ছানী আশার ১৩৮০ শামসী সন, ২ মে ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুল খামীসি বা বৃহস্পতিবার।) তাই প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ মুবারক ও মহান দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। তাহলে সাধারণ মুসলমান সহজেই সেসব মহান দিনের মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবন করে এর ফযীলত, রহমত অন্বেষণে উদ্যোগী হতো। তাদের মধ্যে জযবা-মুহব্বত তৈরি হতো। তারা ফযীলত হাছিল করতে পারতো। তাদের বর্তমান দুরবস্থা সহজেই কাটতো।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মূল ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত। তিনি পবিত্র জুমাদাল উখরা মাস উনার ২০ তারিখ পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তাই সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ২০শে জুমাদাল উখরায় সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা।