মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক
উনাকে ভয় করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার
জন্য নাযাতের পথ বের করে দেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দিয়ে থাকেন। যে
ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।’
সুবহানাল্লাহ!
কোনো মুসলমান যদি ইহুদী,
মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, নাছারা, মজুসী ইত্যাদি বিধর্মীদের
দ্বারা যুলুমের কারণে কখনো রিযিকের সঙ্কটে পড়ে অর্থাৎ খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকে;
তখন সে যেন বেশি বেশি ‘আল্লাহ আল্লাহ’, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
যিকির মুবারক করে এবং বেশি বেশি ছলাত শরীফ বা দুরূদ
শরীফ, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ
পাঠ করে।
তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি
যিকির শরীফ ও দুরূদ শরীফ, মীলাদ শরীফ উনাদের
উসীলায় তার ক্ষুধা নিবারণ করে দিবেন এবং হিফাযত করবেন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রতি যুলুম নির্যাতনের ফলে সারা বিশ্বের কাফির মুশরিকদের
উপর নানা প্রকার খোদায়ী গযব, যেমন- তুষারপাত,
দাবানল, বন্যা, তুফান, ভূমিকম্প, সুনামি, অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্য সঙ্কটসহ নাযিল হচ্ছে, আরো হাজারো গযব নাযিল হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক না করুন! কোনো মুসলমান যদি কখনো খাদ্যসঙ্কটে
পড়ে বা খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকে তখন তারা যেন বেশি বেশি ‘আল্লাহ আল্লাহ’, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
যিকির মুবারক করে এবং বেশি বেশি নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার প্রতি দুরূদ শরীফ, মীলাদ শরীফ,
ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে; তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকির শরীফ ও দুরূদ শরীফ,
মীলাদ শরীফ উনাদের উসীলায় কুদরতীভাবে তার ক্ষুধা
নিবারণ করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ
আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেন, ক্বিয়ামতের পূর্বে যখন দাজ্জালের
আবির্ভাব হবে, তখন সে চল্লিশ দিন কর্তৃত্ব
করবে। তার মধ্যে প্রথম দিন হবে এক বৎসরের সমান, দ্বিতীয় দিন হবে এক মাসের সমান, আর তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। বাকি সাইত্রিশ দিন স্বাভাবিক।
দাজ্জাল তখন মুসলমানদের যমীনের সমস্ত ফসলগুলো নষ্ট করে ফেলবে। ফলে মুসলমানদের মধ্যে
ছূরতান রিযিকের সঙ্কট দেখা দিবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা জিজ্ঞাসা
করলেন- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে তখন মুসলমানগণ খাবে কি এবং তাঁরা বাঁচবে কি করে?
তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেন, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার
যিকির মুবারকই হবে বান্দা-বান্দীদের রিযিক। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তখন যাঁরা মহান আল্লাহ
পাক উনার যিকির মুবারক করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি
যিকির মুবারক উনার উসীলায় মুসলমানদের ক্ষুধা কুদরতীভাবে নিবারণ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি শক্তিশালী মজবুত রিযিকদাতা।
তিনি সমস্ত মাখলূক্বাতের রিযিকের মালিক। কাজেই, উনার উপর তাওয়াক্কুল রেখে কেউ যদি উপরোক্ত আমল করে, তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে কুদরতীভাবে হিফাযত করবেন।
ইনশাআল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা তালাক্ব
শরীফ’ উনার ২, ৩ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
“যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে,
মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য নাজাতের পথ বের করে
দিবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার
উপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” তাই কাফিরদের প্রতি আযাব-গযব
ও খাদ্যসঙ্কটের কারণে মুসলমানদের চিন্তিত বা পেরেশান হওয়ার কিছুই নেই। ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- কোনো মুসলমান যদি কখনো রিযিকের সঙ্কট মনে করে অর্থাৎ
খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকে, তখন সে যেন বেশি বেশি
‘আল্লাহ আল্লাহ’, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ যিকির মুবারক করে এবং বেশি
বেশি ছলাত শরীফ বা দুরূদ শরীফ ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকির শরীফ
ও দুরূদ শরীফ, মীলাদ শরীফ উনাদের উসীলায়
তার ক্ষুধা নিবারণ করে দিবেন এবং হিফাযত করবেন।