পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘পবিত্র সূরা দ্বূহা শরীফ’ উনার ৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে উনার মুখাপেক্ষী পেলেন অতঃপর উনাকে ধনী বা সম্পদশালী করলেন।’
মহান আল্লাহ পাক উনার পরে
সবচেয়ে ধনী হলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
আর উনার যিনি প্রথম আহলিয়া
উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা
আলাইহাস সালাম তিনিও পৈত্রিক সূত্রে আরবের সর্বাধিক সম্পদশালিণী ছিলেন।
তাহলে উনাদের আদরের দুলালী
হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি গরীব কিংবা অভাবী অপপ্রচারটি শুধু চরম মিথ্যা
এবং চরম অপবাদই নয় বরং প্রকাশ্য কুফরীও বটে।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ,
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
হচ্ছেন সৃষ্টির মূল এবং ওসীলা। উনাকেই সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর উনার ওজুদ
পাক নূর মুবারক থেকে বাকী সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত সৃষ্টির জন্য
নবী ও রসূল হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং যমীনে প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন
কোন সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নন তেমনি মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও কোন সৃষ্টির মুখাপেক্ষী
নন বরং তিনি কেবলমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার মুখাপেক্ষী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সবচেয়ে প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ধন-সম্পদসহ সমস্ত
নিয়ামত হাদিয়া করেছেন। শুধু তাই নয়, সৃষ্টিরাজি যত নিয়ামত লাভ করবে তা উনার মুবারক বণ্টনের মাধ্যমে লাভ করবে। যেমন
এ প্রসঙ্গে বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমি বণ্টনকারী
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি হলেন দাতা। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সমস্ত নিয়ামত
ইলম-হিকমত, ধন-সম্পদ, জীবন-যৌবন, সক্ষমতা-সুস্থতা,
ইজ্জত- সম্মান ইত্যাদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
হাদিয়া করেছেন আর তিনি উনার উম্মতের মাঝে তা বণ্টন করে দিয়ে থাকেন। এ বিষয়টি মহান আল্লাহ
পাক উনার কুদরত মুবারক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মু’জিযা মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ধনী হওয়ার বিষয়টির মতো দানশীলতার ক্ষেত্রেও নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পরে সর্বাপেক্ষা দানশীল। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন
সবচেয়ে বড় দানশীল এরপর সবচেয়ে বড় দানশীল হলাম আমি। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার পরে সবচেয়ে বড় ধনী ও দানশীল তেমনি উনার যিনি
লখতে জিগার আদরের দুলালী সন্তান সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম
তিনিও সবচেয়ে বড় ধনী ও দানশীলা। কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন,
হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন
আমারই দেহ মুবারক উনার অংশ মুবারক। উনাকে যে মুহব্বত করলো সে আমাকে মুহব্বত করলো আর
উনাকে যে কষ্ট দিল সে আমাকেই কষ্ট দিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এটা কি করে সম্ভব হতে পারে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা খাবেন,
পরবেন আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার হযরত আহলে বাইত শরীফ ও হযরত আওলাদ শরীফ আলাইহিমুস
সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনারা না খেয়ে, না পরে থাকবেন! অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি মু’মিন মুসলমান উনাদের জীবনের
চেয়ে প্রিয়। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান,
বন্ধু-বান্ধব, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, ধন-সম্পদ এমনকি নিজের জীবনের চেয়ে বেশি মুহব্বত না করা পর্যন্ত কেউই মু’মিন মুসলমান হতে পারবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ
উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতোই উনার হযরত আহলে
বাইত শরীফ ও হযরত আওলাদ শরীফ আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উম্মতের জন্য
অকাতরে দান করে দিতেন। কিছুই জমা করে রাখতেন না। কাজেই দান করে দেয়াটা অভাবী হওয়ার
আলামত ও ছিফত নয় বরং ধনী হওয়ার ছিফত বা বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।