নোটিশ

সোমবার, ৬ মে, ২০১৩

"পহেলা মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িজ।"


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।
আগামীকাল যারা পহেলা মে পালন করবে তারা কুফরী করবে।
পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসহিসেবে পালিত হবার নেপথ্যেও রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের কর্তৃক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধীতা করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র।
আর ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন ভুলে মুসলিম দেশগুলোও বিধর্মী কাফিরদের কর্তৃক প্রবর্তিত কুফরী রীতি সম্বলিত পহেলা মেপালন করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম শ্রমিকের সর্বোচ্চ মৌলিক মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে যা কোনো দিবস নির্ভর নয়। তাই মে দিবসেরছুটি সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন।
অতএব, সরকারের উচিত এ দিনের ছুটি বাতিল করে ইসলামী মূল্যবোধযুক্ত দিনে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা করা।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসহিসেবে পালিত হবার নেপথ্যেও রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের কর্তৃক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধীতা করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। আর ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন ভুলে মুসলিম দেশগুলোও বিধর্মী কাফিরদের কর্তৃক প্রবর্তিত কুফরী রীতি সম্বলিত পহেলা মেপালন করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
তথাকথিত মে দিবসবা শ্রমিক দিবসসম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফায়ছালা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিশ্ব শ্রমিক সম্মেলনে পহেলা মেকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও ঘটনার মূল উৎস ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেট স্কয়ারে ১৮৮৬ সালে একটি র্যা লী অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, ইলিনয়েস-এ তিনদিন স্ট্রাইক পালিত হয় একটি কারখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে। একটি কোম্পানির সাথে জড়িত সেখানকার শ্রমিক, কারিগর, ব্যবসায়ী এবং ইমিগ্র্যান্টরা একটি র্যা লী বের করে হে মার্কেট স্কয়ারে। সেখানে অজ্ঞাত কেউ বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে, এতে ডজনখানেক লোক মারা যায়। সেই হে মার্কেট স্কয়ারে নিহতদের উদ্দেশ্যে পরে মে মাসে অনেক অনুষ্ঠান পালিত হতে থাকে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রই মে দিবসকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের অনুপ্রেরণা যোগায়।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক দিবসহিসেবে পালিত হতো সেপ্টেম্বরের প্রথম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ। আর মে দিবস পালিত হতো সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস হিসেবে। সেখানে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক জমায়েত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং করতো। তাই পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরের প্রথম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ থেকে পরিবর্তন করে পহেলা মে আনা হয় শ্রমিক দিবসহিসেবে। ফলে শ্রমিকদের প্রতিবাদের ভাষা পরিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় শ্রমিক দিবস হিসেবে। যদিও বলা হয় ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার আদায় নিয়ে বিভিন্ন দেশে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসপালিত হয় আসলে এ বিষয়টিও সত্য নয়। কেননা শ্রমিক দিবসেরধারণা আরো পুরনো এবং তা জন্ম নেয় ১৮৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে ২২শে এপ্রিল ছিল আট ঘণ্টা দিবসএবং ছুটির দিন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ব্যাপক প্রচারণা পায় সেপ্টেম্বরের প্রথম ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ। আর সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিবসটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোচনায় শ্রমিক দিবসহিসেবে পালিত হতে থাকে। আর তা হলো পহেলা মে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মে দিবসে সরকারি ছুটি অর্থহীন। অথচ আমাদের সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধ সম্পৃক্ত দিনগুলোতে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা নেই। পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বা শরীফ, পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম শরীফ, পবিত্র মিরাজ শরীফ, পবিত্র লাইলাতুর রাগায়িব শরীফ, পবিত্র পহেলা রজব শরীফ, পবিত্র ৬ই রজব শরীফ ইত্যাদি গুরুত্ববহ দিনগুলোতে সরকারি ছুটির কোন ব্যবস্থা নেই। অথচ এগুলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ফযীলত ও বরকতযুক্ত দিন। সরকারের উচিত পবিত্র ইসলামী মূল্যবোধহীন দিনে ছুটির পরিবর্তে এসব পবিত্র ইসলামী মূল্যবোধযুক্ত দিনে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা করা।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত সাম্রাজ্যবাদী শোষক শ্রেণীর জন্যই বিশ্বে অগণিত শ্রমিক তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে অথচ পহেলা মে এলেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের নামে অর্থহীন আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়। একমাত্র সম্মানিত দ্বীন ইসলাম শ্রমিকের হক্ব আদায়ও তার অধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। এসব দিবস পালনে কখনোই শ্রমিকের কোন দিন অধিকার আদায় হয়নি এবং হবেও না বরং এসব দিবসের আড়ালে বুর্জোয়া শ্রেণী তাদের শোষণের মাত্রা বাড়িয়েই যাবে। সুতরাং মুসলমানগণের উচিত এ সকল অর্থহীন দিবস পালন থেকে বিরত থেকে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী শ্রমিকের সঠিক হক্ব আদায়ে সচেষ্ট থাকা।