মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আপনি ঈমানদার মহিলা উনাদেরকে বলুন, উনারা যেন উনাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখেন
এবং উনাদের ইজ্জত-আবরু বা চরিত্র যেন হিফাজত করেন এবং উনাদের সৌন্দর্য যেন বাইরে প্রকাশ
না করেন।’
অত্র পবিত্র
আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক ও মহান আদর্শ ছিলেন-
সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম।
কাজেই, উনার মহান
আদর্শ মুবারক অনুসরণ করে যে সমস্ত মহিলা শরয়ী পর্দা এবং অন্যান্য আমল করার কোশেশ করবে, তারা উনার
অনুসরণকারিনী হবে এবং জান্নাতের নিয়ামত লাভে ধন্য হবে।
যামানার খাছ
লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে
আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত দ্বীন
ইসলাম উনার পাঁচটি বুনিয়াদ তথা ফরযের পর পুরুষদের জন্য ফরয হচ্ছে হালাল রুজী-রোজগার
উপার্জন করা। আর মহিলাদের জন্য ফরয হচ্ছে পর্দা করা।
মুজাদ্দিদে
আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহিলাগণ তাদের
শরীরের কোনো অঙ্গ বা সামান্য অংশও বেগানা বা পরপুরুষকে দেখাতে পারবে না। এমনকি একটা
চুলও দেখাতে পারবে না। এটাই হচ্ছে শরয়ী পর্দা বা বিধান।
মুজাদ্দিদে
আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘দারে কুতনী শরীফ’ ও ‘বাযযার শরীফ’ কিতাব উনাদের উদ্ধৃতি
দিয়ে বলেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, একবার হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিশেষ মজলিসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহিলাদের জন্য
কোন্ জিনিসটি সর্বোত্তম? সববেত সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম চুপ রইলেন। কেউ কোনো উত্তর দিলেন না। হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস
সালাম তিনি বলেন, আমি এ কথার উত্তর অবগত হওয়ার জন্য মজলিস থেকে উঠে খাতুনে জান্নাত হযরত যাহরা আলাইহাস
সালাম উনার নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, মহিলারা পুরুষদেরকে
দেখবে না আর পুরুষরাও মহিলাদেরকে দেখবে না। হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন, আমি দরবারে নববী শরীফ উনার মধ্যে উপস্থিত হয়ে এ উত্তরটি পেশ করলাম। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত আনন্দিত অবস্থায় বললেন, হযরত ফাতিমাতুয
যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমারই অংশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে
আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘ফতহুল ক্বাদীর’ কিতাবের উদ্ধৃতি
দিয়ে বলেন, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ খাদিম। তিনি বলেন, আমি খাতুনে
জান্নাত হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কোনো একজন আদরের দুলাল শিশু আলাইহিস সালাম উনাকে
চাইলাম তখন তিনি পর্দার মধ্যে থেকে হাত বাড়িয়ে সন্তানকে দিলেন।
মুজাদ্দিদে
আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আবু আইয়ুব
আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন ক্বিয়ামত
সংঘটিত হবে তখন পর্দার আড়াল থেকে আওয়াজ দেয়া হবে, হে হাশরবাসীগণ!
তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত করো। যাতে হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম পুলসিরাত
অতিক্রম করেন। হযরত খাতুনে জান্নাত আলাইহাস সালাম তিনি সত্তর হাজার বেহেশতী হুর উনাদের
মধ্যে অবস্থান করা অবস্থায় বিজলীর ন্যায় পুলছিরাত অতিক্রম করবেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে
আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল বুযূর্গী মুবারক
এবং বেমেছাল পর্দা পালনের কারণে উনাকে হাশরের দিবসে উক্ত ফযীলত হাদিয়া করা হবে।
মুজাদ্দিদে
আ’যম, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব যে সকল
মহিলা সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার আমল-আখলাক
মুবারক অনুসরণ করে চলবেন উনারাও ফযীলত ও সম্মানের অধিকারিনী হবেন এবং জান্নাতের অপার
নাজ-নিয়ামত লাভে ধন্য হবেন।