নোটিশ

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মুসলমান দেশসমূহ ধ্বংসে ও মুসলমানদের আমল বিনষ্টে মুনাফিক সউদী ওহাবী সরকারের ষড়যন্ত্রসমূহের তালিকা


মুসলমান দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রঃ
- মুহম্মদ আব্দুল্লাহ।

১) ফিলিস্তিনে ইহুদীদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ ঘটাতে ব্রিটেনের সাথে গোপনে চুক্তি করে সউদী ওহাবী সরকার। সেই গোপন চুক্তি অনুসারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি ইহুদীদের কাছে বিক্রি করে দেয় সউদী ওহাবী বিশ্বাসঘাতকরা।
২) ১৯৯০ সালে ইরাক হামলার সময় আমেরিকার সকল খরচ বহন করে সউদী ওহাবী সরকার।
৩) আমেরিকা সউদী ওহাবীদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সউদীরা সারা বিশ্বে অর্থ সরবরাহ করে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে আর আমেরিকা সেই কথিত সন্ত্রাস দমনের নামে আগ্রাসন চালায়।
৪) ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার মূল উছিলা ভ- লাদেন, সেই লাদেন পারিবারিক ভাবে সউদী ওহাবী পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ।
৫) ২০০৩ সালে ইরাক হামলার সময় সউদী ওহাবী সরকারের অনুমতিতে সউদী ঘাঁটি ব্যবহার করে আমেরিকা।

৬) ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলা চলছে, এখানেও সেই আমেরিকাকে ডেকে নিয়ে আসছে সউদী ওহাবী সরকার।
৭) মিশরে মুরসির পতনে সেনাবাহিনীকে অর্থ দেয় সউদী ওহাবী সরকার।
৮) সিরিয়ার বিদ্রোহীদের রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ করে খোদ সউদী ওহাবী সরকার।
৯) রাসায়নিক অস্ত্রকে অজুহাত বানিয়ে আমেরিকাসহ সকল পশ্চিমা সন্ত্রাসীদের ডেকে নিয়ে আসে সউদী ওহাবী সরকার।
১০) সিরিয়ায় পশ্চিমা আগ্রাসনের সকল খরচ দিতে রাজি হয় সউদী ওহাবী সরকার।
এরপরও কি মুসলমান উনারা সউদী ওহাবী সরকারকে বিশ্বাস করবে?


সউদী প্রিন্স রাসায়নিক অস্ত্র দিয়েছে ইসরাইলকেঃ

সউদী গোয়েন্দামন্ত্রী প্রিন্স বান্দার বিন সুলতান নিজেই ইহুদী ইসরাইলের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং সেই অস্ত্র তেলআবিব সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। দেখা যাচ্ছে আসাদ নয় বরং মোসাদ এই অপকর্মের নায়ক। ভয়েস অব রাশিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লিবিয়ার সেনা কর্মকর্তা আরো জানায়, প্রিন্স বান্দার নিজে সউদী রাজা হতে চায়। কিন্তু তার মা সউদী রাজবংশের না হওয়ায় (রাজতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী দাসী বা রক্ষিতার সন্তান রাজা হবার যোগ্যতা রাখে না) সে সউদী রাজা হওয়ার যোগ্য নয়। সাক্ষাৎকারে লিবীয় সেনা কর্মকর্তা আরো জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার দিন দিন বেড়ে চলা প্রভাব খর্ব করতেই সিরিয়ার উপর হামলা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমেরিকা। সিরিয়ার উপর থেকে রাশিয়ার সমর্থন তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বান্দার বিন সুলতান চলতি মাসের প্রথম দিকে মস্কো সফর করে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সমর্থন প্রত্যাহারের বিনিময়ে ১৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার প্রলোভন দেখায়। এছাড়াও বিশ্ববাজারে তেলের বিষয়ে বিশেষ সুবিধা দেয়ারও প্রস্তাব দেয়। তবে পুতিন এসব প্রস্তাব প্রতাখ্যান করে।

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

 


সিরিয়ায় হামলার জন্য মার্কিন নেতাদের অর্থ দেয় সউদী ওহাবি প্রিন্স বান্দার

আল ইহসান ডেস্ক:

আমেরিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ওয়েনি ম্যাডসেন বলেছে, সউদী আরবের গোয়েন্দা-প্রধান প্রিন্স বান্দার বিন সুলতান সিরিয়ায় হামলার উদ্যোগের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য মার্কিন সংসদ সদস্যদের ও কয়েকজন ফরাসি মন্ত্রীকে বিপুল অংকের অর্থ (ঘুষ হিসেবে) দিয়েছে।
ইরানের প্রেসটিভির ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ম্যাডসেনের দেয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে জেমস এইচ ফিজার লিখেছে: ম্যাডসেন ওয়াশিংটন, বৈরুত, লন্ডন ও প্যারিসের কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানতে পেরেছে যে, বান্দার মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের এবং ফ্রান্সের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে কেবল সিরিয়ায় নয়, লেবাননের হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থানগুলোতেও ‘আকস্মিকভাবে আতঙ্ক-সৃষ্টিকারী’ হামলা চালাতে বিপুল অংকের নগদ অর্থ দিয়েছে।
সিরিয়া বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ এনে সম্প্রতি আমেরিকা ও তার মিত্ররা সিরিয়ার ওপর হামলা চালানোর হুমকি জোরদার করে। সিরিয়া এই অভিযোগকে পুরোপুরি বানোয়াট বলে অস্বীকার করে আসছে। বরং পাশ্চাত্য ও তাদের স্থানীয় মিত্রদের মদদপুষ্ট বিদ্রোহীরাই একাধিকবার রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করছে।
সিরিয়ার প্রতিরোধের হুমকি ও বিশ্ব জনমতের চাপের মুখে এবং বিশেষ করে, সম্প্রতি সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্র-ভা-ারকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নেয়ার রুশ প্রস্তাব মেনে নেয়ায় ইসরাইল-বিরোধী এই আরব দেশটির ওপর পশ্চিমা হামলার সম্ভাবনা কমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মুসলমানদের আমল বিনষ্টে ষড়যন্ত্রঃ


১) মুসলমানদের রোযা, ঈদ, হজ্জ সহ অধিকাংশ আমল চাঁদ দেখার সাথে সম্পৃক্ত। অথচ, সৌদি ওহাবী মুনাফিক রাজারা প্রতি বছর চাঁদ না দেখে মাস শুরু করে মুসলমানদের হজ্জ, রোযা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আমল নষ্ট করে দিচ্ছে।
২) ছবি তুলে নাফরমানীমূলক কাজ করে হজ্জ করলে তা কবুলযোগ্য হবে না। অথচ, সৌদি ওহাবী মুনাফিক রাজা হজ্জের পবিত্র স্থানসমূহে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে পবিত্র হজ্জ নষ্ট করে দিচ্ছে।
৩) পবিত্র হজ্জ পালন করার ক্ষেত্রে পর্দা বা হিজাব বজায় রাখা অতীব জরুরী। কিন্তু, সৌদি ওহাবী মুনাফিক রাজা হজ্জ পালনের সময় কোনরকম পর্দা পালনের ব্যবস্থা করে নাই।
৪) পবিত্র হজ্জ আদায়ের পর পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করা প্রত্যেক হাজী সাহেবের অবশ্যই কর্তব্য। অথচ, পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতে সীমিত সময় বেঁধে দিয়েছে সৌদি ওহাবী মুনাফিক সরকার।



২৭ বছর আগে ৬শ’ সম্মানিত হাজীকে নির্মমভাবে শহীদ করে সউদী ওহাবী সেনারা (- লিংক)


আরো দেখুনঃ সউদী রাজপরিবার-এর প্রকৃত পূর্বপুরুষ হচ্ছে ইহুদী