নোটিশ

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকারী ইরাকের ইরবাল শহরের বাদশাহ মুজাফফর আবূ সাঈদ ছিলেন নেককার, পরহেযগার ও আলিম।


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরাএবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ঈদে মীলাদুন নবী পালনকারী ইরাকের ইরবাল শহরের বাদশাহ মুজাফফর আবূ সাঈদ ছিলেন মূর্খ ও যিন্দীক। নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো:- উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, দলীলবিহীন ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ নির্ভরযোগ্য সীরাত গ্রন্থসমূহ ও নির্ভরযোগ্য বহু কিতাবে উক্ত বাদশাহকে নেককার, পরহেযগার, আলিম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে হাফিযে হাদীছ হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগ্রন্থ সিয়ারু আলাম আন নুবালা”-এর ২২তম জিঃ ৩৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেন, “বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও উত্তম স্বভাবের অধিকারী ছিলেন। তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ফক্বীহ ও মুহাদ্দিছগণকে অত্যন্ত ভাল বাসতেন।

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শরীয়তে ফযীলতপূর্ণ‌ বিশেষ দিবস ও বার্ষিকী পালনের প্রথা বন্ধ করা হয় নি


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার উলামায়ে সূবিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছাড়াও ইসলামে কম-বেশি সোয়া লাখের মত নবী-রসূল, সোয়া লাখের বেশি ছাহাবী, লক্ষ লক্ষ গাওছ, কুতুব আওলিয়ার জামাত ছিলেন। তাহলে এতজনের বার্ষিকী কিভাবে পালন সম্ভব। তাই ইসলাম বার্ষিকী পালনের প্রথা বন্ধ করে দিয়েছে।নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো:- জাহিল, গুমরাহ, ভ- উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যা, মনগড়া, দলীলবিহীন এবং তা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর মুখালিফ হওয়ার কারণে কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।

কেননা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, যখন নূরে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরত করে মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ নিলেন, সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পেলেন ইহুদী সম্প্রদায় আশূরার দিন রোযা রাখছে। তাদেরকে রোযা রাখতে দেখে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে ইহুদী সম্প্রদায়! তোমরা এ দিনে কেন রোযা রাখছো?’ তারা বলল, এই দিনে আমাদের যিনি নবী ও রসূল হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি আল্লাহ পাক তাওরাত শরীফ নাযিল করেছিলেন

হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলিয়ায়ে কিরামগ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত দিবস পালন করা জায়িজ


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘ইসলামে যদি নবী-রসূল ও আওলিয়ায়ে কিরামগণের জন্মবার্ষিকী পালনের দ্বার উমুক্ত করে, তাহলে মুসলমানরা কি সারা বৎসর বার্ষিকী পালন ব্যতীত অন্য কোন কাজের জন্য এক মুহূর্তও সুযোগ পেত?’ নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো- জাহিল, গুমরাহ, ভন্ড উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য মনগড়া, দলীলবিহীন এবং তা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর মুখালিফ হওয়ার কারণে কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কারণ দ্বীন ইসলামে নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণের বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর দিন উদযাপনের দ্বার উন্মুক্ত করেছে। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن عبيد بن السباق مرسلا وعن ابن عباس رضى الله تعالى عنه متصلا قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فى جمعة من الجمع يامعشر المسلمين ان هذا يوم جعله الله عيدا فاغسلوا ومن كان عنده طيب فلا يضره ان يمس منه وعليكم بالسواك.
অর্থ: হযরত উবায়িদ বিন সাব্বাক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসালসূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুআর দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যে দিনটিকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, মিশকাত শরীফ)

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা বা ক্রিস্টমাস ডে থেকে আসে নি


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধপূর্ণিমা, যিশুর জন্ম দিনের মত ঈদে মীলাদুন নবী নামে বিধর্মীয় সংস্কৃতি পালন করা হচ্ছে । নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো- উলামায়ে সূদের উক্ত বক্তব্য হাদীছ শরীফ-এর সরাসরি মুখালিফ বা বিরোধী হওয়ার কারণে কাট্টা কুফরী হয়েছে। কারণ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন

হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার প্রকৃত তারিখ হচ্ছে ১২ ই রবীউল আউওয়াল শরীফ (২)


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, “নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়।

এর জাওয়াব হলোঃ উলামায়ে সূদের উক্ত কথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ হওয়ার কারণে কুফরী হয়েছে। কারণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ হলো যে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন বা আমল করা অবশ্যই ঠিক।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ.
অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ পাক- উনার ইতায়াত করো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর উনাদের ইতায়াত করো। অতঃপর যখন কোন বিষয়ে উলিল আমরগণের মাঝে ইখতিলাফ দেখতে পাবে তখন (সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য) তোমরা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করো অর্থাৎ যে উলিল-আমরের কুরআন-সুন্নাহ্র দলীল বেশি হবে উনারটিই গ্রহণ করো।” (সূরা নিসা, আয়াত শরীফ ৫৯)

হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার প্রকৃত তারিখ হচ্ছে ১২ ই রবীউল আউওয়াল শরীফ (১)


ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে।

এর জাওয়াব হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ-এর সঠিক তারিখ ১২ই রবীউল শরীফ সম্পর্কে যারা চু-চেরা করে থাকে তারা দুদিক থেকে কাফির।

প্রথমত তারা হাদীছ শরীফ-এর বর্ণনাকে অস্বীকার করার কারণে কাফির। যেমন হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
روى ابو بكر ابن ابى الشيبة بسند الصحيح عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.
অর্থ: হযরত হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন, হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত।

ছলাত-খুতবা না থাকলেও ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ পবিত্র ঈদের দিন, উপরন্তু সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ

ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘ঈদে মীলাদুন নবীছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি ঈদ হতো এবং সকল ঈদের সেরা ঈদ হতো, তবে এখানে ছলাত থাকতো, খুতবা থাকতো। ছলাত ডবল হতো, খুতবা ডবল হতো। কিন্তু এখানে ছলাত, খুতবা নেই।নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো:- পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সাইয়্যিদুল আইয়াদ অর্থাৎ সকল ঈদের সেরা ঈদ সেহেতু এ ঈদে এমন ছলাত রয়েছে যেই ছলাত শুধু ডবলই নয় বরং দায়িমী ছলাত। এ ছলাত শুরু হয়েছে সৃষ্টির শুরু থেকে এবং এটা জারী থাকবে অনন্তকাল ধরে। কারণ এ ছলাত স্বয়ং আল্লাহ পাক পড়েন। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا.
অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এবং উনার ফেরেশতারা নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত পড়েন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার শানে ছলাত পড়ো এবং সেই সাথে যথাযথ সম্মানে সালামও পেশ করো।” (সূরা আহযাব, আয়াত শরীফ ৫৬)

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

আমাল বা অবৈধ আকঙ্খা পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য

‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ শরীফ সংখ্যা: ২২৬তম সংখ্যা | বিভাগ: 


পার্থিব ধন-সম্পদ কিংবা দুনিয়াবী পদমর্যাদা প্রভৃতির জন্য আশা-আকাঙ্খা করা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দ্বীনি ইলম অর্জন, জিহাদে অংশগ্রহণ ইত্যাদি নেক কাজের আকাঙ্খা নিন্দনীয় নয়; বরং প্রশংসনীয়। অতএব বলা যায়, আশা-আকাঙ্খার ভাল-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। অত্র প্রবন্ধে কেবল মন্দ বা অবৈধ আকাঙ্খা সম্পর্কে আলোকপাত করা হচ্ছে; যা প্রকৃতপক্ষে কাফির-মুশরিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।

যেমন- এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন-

ذرهم ياكلوا ويتمتعوا ويلههم الامل فسوف يعلمون

অর্থ : “আপনি তাদেরকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দিন, তারা আহার করুক, ভোগ করুক এবং আশা-আকাঙ্খায় মোহগ্রস্ত থাকুক। শীঘ্রই তারা প্রকৃত অবস্থা জানতে পারবে।” (পবিত্র সূরা হিজর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)

নিফাক্ব বা কপটতার ভয়াবহ পরিণতি ও প্রতিকার

‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ শরীফ সংখ্যা: ২২৫তম সংখ্যা | বিভাগ: 


নিফাক্ব থেকে মুনাফিক্ব শব্দটির উৎপত্তি। যার মধ্যে নিফাক্ব, নিফাক্বী বা মুনাফিক্বী আচরণ রয়েছে সেই মুনাফিক্ব। মুখে একটা আর অন্তরে আরেকটা এরূপ স্বভাবের অধিকারী ব্যক্তিকেই সাধারণত মুনাফিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুনাফিকের কাজ হলো ধোকা দেয়া বা প্রতারণা করা। মুনাফিক্ব দু’ শ্রেণীর হয়ে থাকে। ১. আক্বীদা বা বিশ্বাসের দিক দিয়ে মুনাফিক্ব। ২. আমল বা কর্মের দিক দিয়ে মুনাফিক্ব।
যারা আক্বীদার দিক দিয়ে মুনাফিক; এরা বাহ্যিকভাবে নিজেকে ইসলামের অনুসারী বলে দাবি করে, কিন্তু আন্তরিকভাবে কুফরিকে লালন করে। এরা কাফির অথবা কাফিরদের চেয়ে মারাত্মক। এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আর মানুষদের মধ্যে এমন কতক লোক রয়েছে, যারা বলে আমরা ঈমান এনেছি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং পরকালের প্রতি; কিন্তু তারা ঈমানদার নয়। তারা প্রতারণা করে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে এবং যারা ঈমানদার উনাদের সাথে। প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদেরকেই প্রতারিত করে; অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারে না। তাদের অন্তরে রয়েছে (কপটতার) ব্যাধি। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের এ ব্যধি আরো বৃদ্ধি করে দেন। অর্থাৎ তাদের কপটতার কারণে তাদের এ ব্যাধি আরো বৃদ্ধি পায়। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক কঠিন শাস্তি। কারণ, তারা মিথ্যা কথা বলতো।”