হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! যে একটি দল নাযাত প্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার সাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মত ও পথের উপর যারা কায়েম থাকবে, (তারাই নাযাত প্রাপ্ত দল)।” ( তিরমিযী শরীফ)
মূলত নামায, কালাম, রোযা, হজ্জ সবাই করবে, তবুও যে ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে, তাদের সাথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পার্থক্য হল প্রধানতঃ আক্বীদায়, আমলে নয়। তাইতো ইবলিস ৬ লক্ষ বছর ইবাদত করে, ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুয়াল্লিম হয়েও সে জাহান্নামী হয়ে গেল শুধু ঈমান না থাকার কারণে। যার জাররা পরিমাণ থাকবে, সে জান্নাতে যাবে। কিন্তু অন্তরে কুফরী রেখে হাজার নামায-কালাম পড়লেও কেউ কোনদিন জান্নাতে যেতে পারবে না। তাই আক্বীদা বিশুদ্ধ করা সকলের জন্যই ফরয। আর সেজন্যই বাতিল ফিরকার আক্বীদা সম্পর্কে জেনে তাদের কুফরী থেকে সাবধান থাকাও জরুরী। 'বাতিল ফিরকাহ ও তাদের কুফরী আক্বীদা' সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
শুধু আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর ঈমান আনলেই মু'মিন হওয়া যায় না। বরং উনাদের প্রতিটি বিষয়েও বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করতে হয়, অতঃপর শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগী করতে হয়। যেমনঃ কাদিয়ানীরা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল হিসেবে মানলেও উনাকে খতামান নাবিয়্যীন হিসেবে না মানার কারণে কাফির হয়ে গেছে। আশা করি, আক্বীদার বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
বর্তমানে কিছু বাতিল ফিরকা রয়েছে, যারা মানুষের মাঝে বদ-কুফরী আক্বীদা ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষেরা আক্বীদার গুরুত্ব না বোঝার কারণে এবং ওলী-আল্লাহর ছোহবতে না থাকার কারণে বদ আক্বীদা পোষণ করে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাচ্ছে। তাই সে সকল বাতিল দলগুলোর মুখোশ উন্মোচন করা হবে ইনশাআল্লাহ। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ উদ্দেশ্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের ঈমান-আমল হেফাযত করা উদ্দেশ্য। আল্লাহ পাক কবুল করুন। আমিন
যে সকল বাতিল ফিরকা ও ব্যক্তি বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের ঈমান আমলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, সেগুলো হলঃ
১) ওহাবী (সৌদী ভ্রান্ত শাসক, আলবানি, ইবনে তাইমিয়া, বায)
২) আহলে হাদিছ-লামাজহাবী (জাকির নায়েক)
৩) সালাফি
৪) জামাতী-মওদূদী
৫) ইলিয়াছী তাবলীগী
৬) কওমী-খারিজী (চরমোনাই পীর)
৭) হিযবুত তাহরীর
৮) অতিসুন্নী রেযাখানী
ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই এদের কুফরী আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হবে। তাই জাহান্নামী ফিরকাদের সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য এই পৃষ্ঠায় চোখ রাখুন