নোটিশ

সুন্নাহ শরীফ


মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। অবশ্য সেই ব্যক্তির জন্য যে মহান আল্লাহ পাক ও শেষ দিবস হইতে ভয় রাখে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে। (সূরা আহযাব-২১)


সমস্ত জিন-ইনসান, বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য একমাত্র অনুসরণীয়, অনুকরণীয় হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিঃ

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কুল-কায়িনাতের যিনি খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি উনার কালাম পাক-এর বহু আয়াত শরীফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা, ইতায়াত তথা অনুসরণ, অনুকরণ করার জন্য বলেছেন, আদেশ-নির্দেশ করেছেন।
যেমন, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের কাছে যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো বা পালন করো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।(সূরা হাশরঃ  আয়াত শরীফ-৭)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের থেকে তাদের কিছু ধর্মীয় কথা শুনে থাকি, যাতে আমরা আশ্চর্যবোধ করি, এর কিছু আমরা লিখে রাখবো কি? হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরাও কি দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছ; যেরকম ইহুদী-নাছারারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে? অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল ও সুস্পষ্ট দ্বীন নিয়ে এসেছি। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম (ইহুদীদের যিনি নবী ও রসূল) তিনিও যদি হায়াত মুবারক-এ থাকতেন তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো (মুসনাদে আহমদ, বাইহাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, শরহুত ত্বীবী, তালীকুছ ছবীহ ইত্যাদি)

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যদি তোমরা মুমিন-মুসলমান হয়ে থাকো তাহলে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে অনুসরণ করো। (সূরা আনফাল : আয়াত শরীফ-১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করলো প্রকৃতপক্ষে সে মহান আল্লাহ পাক উনারই অনুসরণ করলো। (সূরা নিসা: আয়াত শরীফ-৮০)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রবৃত্তি আমি যা এনেছি তার আনুগত্য বা অনুসরণ না করবে। (শরহুস সুন্নাহ, মিশকাত)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বুখারী শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার সমস্ত উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে শুধুমাত্র যে আমাকে অস্বীকার করবে সে ব্যতীত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন ব্যক্তি আপনাকে অস্বীকারকারী? তিনি বললেন, যে আমাকে ইতায়াত বা অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আমার নাফরমানী করবে অর্থাৎ ইতায়াত বা অনুসরণ করবে না, সেই আমাকে অস্বীকারকারী।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করাটা হিদায়েত ও রহমত লাভের কারণ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যদি তোমরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো তবেই তোমরা হিদায়েত লাভ করবে। (সূরা আন নূর : আয়াত শরীফ-৫৪)
তিনি আরো ইরশাদ করেন, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো: অবশ্যই তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে। (সূরা আন নূর : আয়াত শরীফ-৫৬)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যদি কেউ অনুসরণ না করে তাহলে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সে বিদয়াতী-বেশরা, বিধর্মীদের অনুসরণ করতে বাধ্য। ফলে সে কুফরী ও গুমরাহীতে মশগুল হবে এবং পরিণামে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। যেমন, ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘যেদিন জাহান্নামের আগুনে তাদের চেহারা ঝলসিয়ে দেয়া হবে সেদিন তারা বলবে, হায়! আমরা যদি মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আনুগত্য করতাম। (সূরা আহযাবঃ আয়াত শরীফ-৬৬)
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বান্দা-বান্দী, উম্মত যদি নাজাত পেতে চায়; তাহলে তাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হলো, ঈমান এনে আক্বীদা শুদ্ধ করে প্রতিক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ অনুকরণ করা।


সুন্নাত মুবারকের শ্রেণিবিভাগঃ

মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ সুন্নাহ শরীফকে প্রধানতঃ তিন ভাগে ভাগ করেছেন। যথাঃ
১) মারফূঃ নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে মারফূ হাদিছ শরীফ বলে। মারফূ হাদিছ শরীফকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
ক) ক্বওলীঃ নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুখ মুবারক নিঃসৃত বাণী মুবারককে মারফূ ক্বওলী হাদিছ শরীফ বলে।
খ) ফে’লীঃ নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে আমল করে যা বাস্তবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাকে মারফূ ফে’লী হাদিছ শরীফ বলে।
গ) তাক্বরীরীঃ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে কোন কথা-বার্তা বলেছেন কিংবা কোন কাজ-কর্ম করেছেন, আর নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাতে নিরবতা পালন কিংবা সম্মতি প্রদান করেছেন, তাকে তাক্বরীরী মারফূ হাদিছ শরীফ বলে।
২) মাওকূফঃ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে মাওকূফ হাদিছ শরীফ বলে।
৩) মাকতূঃ হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে মাকতূ হাদিছ শরীফ বলে।


সুন্নাতের পবিত্রতম আমলসমূহঃ

) পোশাক-পরিচ্ছদের সুন্নাতসমূহঃ

ক) টুপির সুন্নাতঃ চার টুকরা বিশিষ্ট গোল, সাদা, সুতি কাপড়ের তৈরী টুপি ব্যবহার করা সুন্নাত। 
 লিংক-১
ফতওয়াঃ পর্ব-১পর্ব-২, পর্ব-৩,  পর্ব-৪পর্ব-৫পর্ব-৬, পর্ব-৭

খ) কোর্তা বা জামার সুন্নাতঃ হাঁটু ও গিরার মাঝামাঝি পর্যন্ত লম্বা এবং আস্তিন কব্জি পর্যন্ত বিলম্বিত হবে এবং তা গুটলি যুক্ত, কোনা বন্ধ (গোল) -এরূপ কোর্তা ব্যবহার করা সুন্নাত
লিংক-১লিংক-২

গ) ইজার বা লুঙ্গির সুন্নাতঃ সেলাইবিহীন (ফাঁড়া) লুঙ্গি পরিধান করা সুন্নাত। দৈর্ঘ্যে সাড়ে চার হাত ও প্রস্থে আড়াই হাত লম্বা হওয়া সুন্নাত।
ঘ) পাগড়ির সুন্নাতঃ অধিকাংশ সময় সাত হাত লম্বা, ঘরের মধ্যে তিন হাত লম্বা এবং ঈদ, জুমুয়া ও দূতদের জন্য ১২ হাত লম্বা পাগড়ী ব্যবহার করা সুন্নাত। কালো, সবুজ, সাদা, ধূসর ইত্যাদি বিভিন্ন রংয়ের পাগড়ী ব্যবহার করা সুন্নাত।
লিংক-১

ঙ) রুমালের সুন্নাতঃ রুমালের সুন্নাতী মাপ সাধারণতঃ আড়াই হাত, পৌনে তিন হাত ও তিন হাত বরগাকৃতির হওয়া সুন্নাত।
লিংক-১

চ) মোজার সুন্নাতঃ খয়েরী রঙের চামড়ার মোজা।লিংক-১

 ছ) নালাইন বা সেন্ডেলের সুন্নাতঃ দুফিতা যুক্ত (ক্রস বেল্ট), যা সম্পূর্ণ (তলা’ও) চামড়ার দ্বারা নির্মিত এবং তা লাল-খয়েরী রংয়ের জুতা ব্যবহার করা সুন্নাত।

জ) জুব্বার সুন্নাতঃ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈদ, জুমুয়া এবং বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে জুব্বা মুবারক পরিধান করতেন। যার জেব এবং আস্তিনের উপর এমন কি নিম্নাংশেও সুক্ষ্ম রেশমের কারুকার্য ছিল।

ঝ) চাদরের সুন্নাতঃ চার হাত দৈর্ঘ্য-আড়াই হাত প্রস্থ অথবা ছয় হাত দৈর্ঘ্য- সাড়ে তিন হাত প্রস্থ হওয়া সুন্নাত।
ঞ) মহিলাদের পোশাকের সুন্নাতঃ (লিংক)

 ট) পোশাক পরিধানের সুন্নাতঃ

) ব্যবহার্য জিনিসের সুন্নাতসমূহঃ

          ক) দস্তরখানার সুন্নাতঃ দস্তরখান চামড়ার ও হালকা লাল (খয়েরী) রঙের হওয়া সুন্নাত।

খ) চৌকির সুন্নাতঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার চকি মুবারক ছিল চার পায়া বিশিষ্ট এবং কাঠের তৈরী। এছাড়াও চারপায়া ছিল দড়ির তৈরী, যার ফলে কখনো কখনো দেহ মোবারকে দাগ পড়ে যেত। একাকী ব্যবহারের জন্যে সাড়ে চার হাত লম্বা ও আড়াই হাত চওড়া এবং আরেকটি সাড়ে চার হাত লম্বা এবং প্রায় সাড়ে তিন হাত চওড়া ছিল।

          গ) চিরুনির সুন্নাতঃ হাতির দাঁত বা হাড় দ্বারা তৈরী করা চিরুনি ব্যবহার করা খাছ সুন্নাত।

ঘ) সুরমার সুন্নাতঃ ইসমিদ সুরমা ব্যবহার করা সুন্নাত। এক বর্ণনা থেকে, ডান চোখে তিনবার ও বাম চোখে তিনবার লাগানো সুন্নাত।

          ঙ) আতর বা সুগন্ধির সুন্নাতঃ মেশক মিশ্রিত সুগন্ধি।

          চ) তাসবীহর সুন্নাতঃ

          ছ) জায়নামাযের সুন্নাতঃ

জ) বালিশের সুন্নাতঃ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বালিশ মুবারক ছিল চামড়ার। ভিতরে তুলার পরিবর্তে খেজুরের পাতা ও ছোবড়া ভর্তি ছিল। (সীরত গ্রন্থসমূহ)

ঝ) পেয়ালার সুন্নাতঃ লোহার পাতযুক্ত কাঠের পেয়ালা সুন্নাত।

ঞ) বিছানার সুন্নাতঃ চামড়ার অথবা চটের অথবা খেজুর পাতার হওয়া সুন্নাত। চামড়ার বিছানা দুই হাত চওড়া ও চার হাত লম্বা হওয়া সুন্নাত।

ট) লাঠির সুন্নাতঃ খুৎবা দেওয়ার সময় খেজুর গাছের কাঠ দ্বারা নির্মিত লাঠি ব্যবহার করা সুন্নাত যা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হবে।

ঠ) তেল ব্যবহারের সুন্নাতঃ জয়তুনের তেল খাছ সুন্নাত।

ড) খাদ্যসামগ্রীর সুন্নাতঃ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কদু ও আজওয়া নামক খেজুর পছন্দ করতেন।

ঢ) মিসওয়াকের সুন্নাতঃ পিলু, জয়তুন ও খেজুর গাছের ডাল দিয়ে বসে মিসওয়াক করা সুন্নাত সুন্নাত হল মুখের লম্বালম্বি মেসওয়াক করা। দাঁতের লম্বালম্বি মেসওয়াক করাও সুন্নাত, তবে শর্ত হচ্ছে উপরে ও নিচে জোড়ে চাপ না দেওয়া।
ছ) মিম্বরের সুন্নাতঃ

) ইবাদত-বন্দেগির সুন্নাতসমূহঃ

          ক) সুন্নাত ইবাদতসমূহঃ

    • সুন্নাত নামাযসমূহ
      • তাহাজ্জুদ নামায (লিংক)
      • তারাবীহ নামায (লিংক)
      • ছলাতুত তাসবীহ নামায (লিংক)
      • শবে কদরের নামায
      • হালকী নফল নামায
      • পাঞ্জেগানা নামাযে সুন্নাত নামাযসমূহ (লিংক)
    • মাজার শরীফ যিয়ারত (লিংক)
    • সুন্নাত রোযাসমূহ (লিংক)
      • পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম (দশই মুহররম) উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯/১০ অথবা ১০/১১ তারিখে রোযা রাখা।
      • প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা।
      • পহেলা রজব এর দিনে রোযা রাখা।
      • মিরাজ শরীফ-এর দিনে রোযা রাখা।
      • শবে বরাত উপলক্ষে ১৫ই শাবানে রোযা রাখা
      • শাওওয়াল মাসের ৬টি রোযা।
      • যিলহজ্জ মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোযা।)
    • শবে বরাতের আমলঃ (লিংক)

          খ) নামাযের সুন্নাতঃ (লিংক)
          গ) রোযার সুন্নাতঃ (লিংক-১, লিংক-২, লিংক-৩)
          ঘ) হজ্জের সুন্নাতঃ (লিংক)
          ঙ) যাকাত ও উশর আদায়ের সুন্নাতঃ (লিংক)
          চ) কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের সুন্নাতঃ
          ছ) ইতিকাফের সুন্নাতঃ (লিংক)
          জ) মসজিদের সুন্নাতঃ
          ঝ) মসজিদে অবস্থানের সুন্নাতঃ
          ঞ) আযানের সুন্নাতঃ (লিংক)
          ট) ওযুর সুন্নাতঃ (লিংক)
          ঠ) জানাযা, দাফন, কাফনের সুন্নাতঃ
          ড) যিকিরের সুন্নাতঃ
          ঢ) ফিতরা আদায়ের সুন্নাতঃ (লিংক)

) মুয়াশারাত বা জীবন-যাপন চলাফেরার সুন্নাতসমূহঃ

          ক) হাটার সুন্নাতঃ
          খ) কথা বলার সুন্নাতঃ
          গ) ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুন্নাতঃ
          ঘ) ইস্তিঞ্জা ও মলত্যাগ করার সুন্নাতঃ
          ঙ) ঘুমানোর সুন্নাতঃ
          চ) সফরের সুন্নাতঃ
          ছ) সহবাসের সুন্নাতঃ
          জ) খাওয়ার সুন্নাতঃ (লিংক)
          ঝ) পান করার সুন্নাতঃ
          ঞ) রান্নার সুন্নাতঃ
ট) শরীর পরিচর্যা-পরিছন্নতার সুন্নাতঃ
ঠ) চুলের সুন্নাতঃ
ড) দাড়ির সুন্নাতঃ
ঢ) হাসি-খুশির সুন্নাতঃ
ণ) সালাম দেওয়ার সুন্নাতঃ
ত) নখ কাটার সুন্নাতঃ
থ) মুছাফাহা-মুয়ানাকার সুন্নাতঃ
দ) কারও বাড়ীতে গমন ও সাক্ষাৎ করার সুন্নাতঃ
ধ) কদমবুছীর সুন্নাতঃ
ন) চিকিৎসার সুন্নাতঃ
প) আলাপ করার সুন্নাতঃ
ফ) ব্যবহৃত জিনিসের নামকরণের সুন্নাতঃ


) মুয়ামালাত বা ব্যবসা বাণিজ্যের সুন্নাতসমূহঃ

          ক) অধীনস্থ কর্মচারী বা গোলামমের হক্ব আদায়ের সুন্নাতঃ
          খ) মুনিবের হক্ব আদায়ের সুন্নাতঃ
          গ) ক্রয়-বিক্রয়ের সুন্নাতঃ

) মুয়াশারাত বা মেলামেশার সুন্নাতসমূহঃ

          ক) পিতা-মাতার হক্ব আদায়ের সুন্নাতঃ
          খ) বিবাহ-শাদীর সুন্নাতঃ
          গ) আত্মীয়-স্বজনের হক্ব আদায়ের সুন্নাতঃ
          ঘ) প্রতিবেশীর হক্ব আদায়ের সুন্নাতঃ
          ঙ) স্ত্রীর হক্ব আদায়ের সুন্নাতঃ
          চ) আদব-কায়দার সুন্নাতঃ
          ছ) দান-সদকা করার সুন্নাতঃ
          জ) হাদিয়া করার সুন্নাতঃ
          ঝ) কাফিরদের সাথে আচরণের সুন্নাতঃ
          ঞ) মুনাফিকের সাথে আচরণের সুন্নাতঃ
          ট) বাতিল ফিরকার সাথে আচরণের সুন্নাতঃ


) তাবলীগ বা দ্বীন প্রচার ও জ্ঞানার্জনের সুন্নাতসমূহঃ

          ক) দ্বীন ইসলাম গ্রহণের সুন্নাতঃ
          খ) বাইয়াতের সুন্নাতঃ
গ) দাওয়াত, ওয়াজ-নছীহত ও তালিমের সুন্নাতঃ
          ঘ) ইলম হাছিলের সুন্নাতঃ
ঙ) মজলিসের সুন্নাতঃ


) জিহাদের সুন্নাতসমূহঃ

          ক) অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সুন্নাতঃ
          খ) জিহাদের সুন্নাতঃ


) খিলাফত বা শাসনব্যবস্থা পরিচালনার সুন্নাতসমূহঃ

          ক) আইন প্রয়োগের সুন্নাতঃ